চীনের সাথে উত্তেজনা চলাকালীন বিশ্ব শান্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য

এলএসি নিয়ে চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে স্বনির্ভর ভারতের লক্ষ্য দেশকে সক্ষম করা, যাতে বিশ্বে শান্তি বজায় থাকে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী 'প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভর' সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কেবল স্থিতিশীলতা সরবরাহ করবে না, ভারতকে সক্ষম হতে সাহায্য করবে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বনির্ভর ভারতের লক্ষ্যও বটে।

প্রতিরক্ষা বিভাগ (ডিএমএ) এবং এফআইসিসিআই আয়োজিত এই ওয়েবিনারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন সেনাবাহিনীর প্রধানসহ প্রতিরক্ষা শিল্পের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে এই ওয়েবিনারের অংশ ছিলেন না। তবে তিনি হঠাৎ এই ওয়েবিনারের সমাপ্তিতে যোগ দিয়েছিল এবং প্রায় ১৮ মিনিট ওয়েবিনারে ভাষণ দিয়েছিলেন। এসময় সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, " আমরা স্বদেশী অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করি বিজয়ী হই, এর থেকে বেশি খুশি আমরা হতে পারি না।"

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে স্বনির্ভর ভারত কেবল দেশের জন্য নয়, মিত্র দেশগুলিকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারে, যা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নেট-সুরক্ষা সরবরাহকারীর ভূমিকা আরও জোরদার করবে।

এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রশংসা করেন এবং বলেছিলেন যে ভারতকে স্বনির্ভর করতে তিনি 'মিশন-মোডে' রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বছরের পর বছর ধরে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ ছিল তবে এখন আমাদের লক্ষ্য স্বদেশী প্রতিরক্ষা শিল্পের উপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলি শেষ করা এবং এ জন্য প্রতিরক্ষা খাতে ৭৪ শতাংশ বৈদেশিক বিনিয়োগ অনুমোদিত হয়েছে (স্বয়ংক্রিয় রুটের মাধ্যমে)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে আজকের সময়ে প্রযুক্তিই একমাত্র ক্ষমতা এবং সেই দেশই অগ্রণী হবে যারা কাটিং এজ প্রযুক্তির ব্যবহার করবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে ভারতের সামরিক শক্তি স্বদেশী প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কেবল তখনই 'আমরা কৌশলগত-স্বনির্ভরতা ব্যবহার করতে সক্ষম হব'।

মে মাসের পর থেকে এলএসি নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই দ্বন্দ্ব হ্রাস করতে দু'দেশের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে এক ডজনেরও বেশি বৈঠক হয়েছে, তবে এই দ্বন্দ্ব থামছে না। এদিকে, সিডিএস জেনারেল রাওয়াত এই বলে এক উত্তেজনা তৈরি করেছিলেন যে চীনের সাথে আলোচনা যদি ব্যর্থ হয় তবে ভারতের কাছে সামরিক পদক্ষেপের বিকল্প রয়েছে।