ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাইয়ের ১০১ তম জন্মবার্ষিকীতে জেনে নিন দেশের প্রতি তার অবদান

 ভারতকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বিক্রম সারাভাইয়ের আজ ১০১ তম জন্মবার্ষিকী। সারাভাই, যিনি ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির সহায়তায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, ১৯১৯ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর রচনার নিরিখে ১৯৬২ সালে শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কার পেয়েছিলেন। এর পরে ১৯৬৬ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৭২ সালে পদ্মবিভূষণ (মরণোত্তর) পুরষ্কার দেওয়া হয়। গত বছরের চাঁদে পৌঁছে যাওয়া পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চন্দ্রায়ণ -২ এর ল্যান্ডারের নামকরণ করা হয়েছিল তাঁর নামে।

ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) প্রতিষ্ঠায় বিক্রম সারাভাই মূল ভূমিকা পালন করেছেন। তিরুবনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার (ভিএসএসসি) আজ ইসরোর একটি প্রধান কেন্দ্র।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করার আগে গুজরাট কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন। এর পরে, তিনি নিজেই আহমেদাবাদে শারীরিক গবেষণা পরীক্ষাগার (পিআরএল) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সময়, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। পারমাণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি তিনি আহমেদাবাদ থেকে শিল্পপতিদের সহায়তায় আইআইএম আহমদাবাদও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি দেশের প্রথম বাজার গবেষণা সংস্থা অপারেশনস রিসার্চ গ্রুপ (ওআরজি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সারাভাই আহমেদাবাদের নেহেরু ফাউন্ডেশন ফর ডেভলপমেন্ট, আহমেদাবাদ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (এটিআইআরএ) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ভারতের পারমাণবিক বিজ্ঞান কর্মসূচির জনক হিসাবে বিবেচিত ডঃ হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা ভারতে প্রথম রকেট লঞ্চিং স্টেশন স্থাপনে সারাভাইকে সমর্থন করেছিলেন। সারাভাই ভারতীয় উপগ্রহের নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন। ফলস্বরূপ, প্রথম ভারতীয় উপগ্রহ, আর্যভট্টকে ১৯৭৫ সালে একটি রাশিয়ান কসমোড্রোম থেকে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল।

বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী মল্লিকা সারাভাইয়ের পিতা বিক্রম সারাভাই, যিনি মৃণালিনী সারাভাইকে বিয়ে করেছিলেন, তিনি ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিরুবনন্তপুরমের কোভালামে মারা যান। তাঁর পুত্র কার্তিকেয় সারাভাই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ পরিবেশবিদ।