কেরালার কোজিকোডে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ভারী বৃষ্টির মধ্যে অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যাওয়ার পরে খাদে পড়ে যায়। পড়ার পরে, বিমানটি দুটি অংশে ভেঙে পড়ে এবং ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে প্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন দীপক সাঠে এবং তার সহ-পাইলট অখিলেশ কুমার রয়েছেন। ২০১১ সালে, একজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছিলেন যে কোজিকোডের করীপুর বিমানবন্দরের দশ নম্বর রানওয়েটি অনিরাপদ এবং বিশেষত বর্ষাকালে অবতরণের জন্য ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
এই সতর্কতা ক্যাপ্টেন মোহন রাঙ্গনাথন ২০১১ সালে মঙ্গলোরে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ৮১২-এর দুর্ঘটনার পরে জারি করেছিলেন যাতে ১৫৮ জন মারা গিয়েছিল। ক্যাপ্টেন মোহন রাঙ্গনাথন সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রনালয় দ্বারা গঠিত একটি সুরক্ষা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। একটি সংবাদ সংস্থার সাথে কথা বলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন রঙ্গনাথন বলেছিলেন যে তাঁর সতর্কতা উপেক্ষা করা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে এটি একটি টেবিলটপ রানওয়ে এবং রানওয়ের শেষে বাফার জোনটি অপর্যাপ্ত।
তিনি আরও বলেছিলেন যে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের স্থানের উপর নির্ভর করে রানওয়ে শেষে ২৪০ মিটার একটি বাফার দেওয়া উচিৎ ছিল, তবে এটির মাত্র ৯০ মিটার রয়েছে। রানওয়ের উভয় পাশের স্থানটি বাধ্যতামূলক ১০০ মিটারের পরিবর্তে মাত্র ৭০ মিটার। এছাড়াও, যখন বৃষ্টি হয় তখন টেবিলটপ রানওয়েতে পরিচালনা করার জন্য কোনও নির্দেশিকা নেই।
No comments:
Post a Comment