মুখ্যমন্ত্রী যোগীর মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে না যাওয়ার বক্তব্যের ওপর ক্ষুব্ধ বিরোধীদের মন্তব্য

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের "যোগী ও হিন্দু" হওয়ায় তিনি অযোধ্যার মসজিদটির সাং-ই-বুনিয়াদ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সমাজবাদী পার্টি শুক্রবার বলেছিল যে তিনি পুরো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় এর জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। 

সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র পবন পান্ডে বলেছেন, "এই কথা বলে যোগী মুখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণের আগে যে শপথ করেছিলেন তার লঙ্ঘন করেছেন। তিনি কেবল হিন্দু নয় গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে হিন্দু ও মুসলমানের জনসংখ্যা যাই হোক না কেন, তিনি সবার মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাষা গৌরব হ্রাস করে।" পান্ডে বলেছিলেন," এর জন্য জনগণের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। "

কংগ্রেসের মিডিয়া আহ্বায়ক লল্লন কুমারের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, "তাঁর মসজিদে দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই।" তিনি বলেছিলেন, "মুখ্যমন্ত্রী জানেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী অযোধ্যা গিয়ে তালা খুলে দিয়েছিলেন। তিনি ভুল হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করছে যেখানে কংগ্রেস সর্বদা মানুষের মঙ্গলার্থে কাজ করে। ভগবান রাম সবার অন্তর্গত, যেখানে বিজেপি দেখাতে চায় যে রাম কেবল তাঁরই, এটি তাদের ভুল বোঝাবুঝি।"

বুধবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, "যোগী ও হিন্দু হওয়ার কারণে তিনি অযোধ্যাতে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।"  তিনি বলেছিলেন, "আপনি যদি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য যদি এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করেন তবে আমি কোনও ধর্ম, বিশ্বাস বা সম্প্রদায়কে এড়িয়ে যাচ্ছি না, তবে আপনি যদি আমাকে যোগী হিসাবে জিজ্ঞাসা করছেন তবে আমি মোটেও যাব না, কারণ হিন্দু হিসাবে আমাকে আমার উপাসনা অনুশীলন অনুসরণ করার অধিকার আছে।"

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "আমি না বাদি বা প্রতিবাদী নই, তাই আমাকে ডাকা হবে না এবং আমিও যাব না। আমি জানি যে এর জন্য আমি কোনও আমন্ত্রণ পাব না। যে দিন আমাকে এই লোকেরা ডেকেছিল, সেদিন অনেক মানুষের ধর্মনিরপেক্ষতা বিপদে পড়বে। এ কারণেই আমি চাই না যে কারও ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন হোক এবং সে কারণেই আমি বিনা বৈষম্য ছাড়াই নিরবতার সাথে কাজ করছি যাতে সরকারের প্রকল্পগুলি সকলের উপকার করতে পারে। '' 

মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "মাথায় টুপি পরে ইফতার করা ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। জনগণ জানে যে এটি একটি ভন্ডামি এবং জনগণও এর বাস্তবতা জানে।" কংগ্রেসের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন," কংগ্রেস কখনই সমাধান চায়নি, তারা তাদের রাজনৈতিক উপকারের জন্য বিতর্ক চালিয়ে যেতে চেয়েছিল।"