ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো দুটি বড় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা নিয়ে দেশে তুমুল লড়াই চলছে। কংগ্রেস ভারতে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপকে মার্কিন সংবাদপত্র 'ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল' এর একটি প্রতিবেদন নিয়ে বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) দখলে রাখার অভিযোগ করেছে। কংগ্রেস এখন এই বিষয়ে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি-জেপিসি তদন্তের দাবি করেছে। জেপিসি কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে তা জানুন।
জেপিসি কী ?
১৯৮৭ সালের আগস্টে বোফর্স কেলেঙ্কারি তদন্তের জন্য প্রথম জেপিসি গঠিত হয়েছিল। এটির সভাপতিত্ব করেন কংগ্রেস নেতা বি শঙ্করানন্দ। জেপিসি হল সংসদ কমিটি যেখানে সমস্ত দলের সমান অংশগ্রহণ রয়েছে। এতে রাজ্যসভার তুলনায় লোকসভা সদস্যের সংখ্যা দ্বিগুণ। জেপিসি-র সদস্য সংখ্যা প্রতিবারই আলাদা হতে পারে। জেপিসির কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা যে কোনও পক্ষকে ডেকে পাঠানোর অধিকার রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
জেপিসি গঠন কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
আসলে সংসদে কাজ বেশি এবং সময় সীমাবদ্ধ। যে কারণে সংসদ সমস্ত বিল ও প্রতিবেদন পরীক্ষা করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে সংসদে উপস্থাপন করা বিভিন্ন বিল, বিষয় ও প্রতিবেদন পরীক্ষা ও পরীক্ষা করার জন্য একটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। এই উদ্দেশ্যটিকে মাথায় রেখে জেপিসিও গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য সংখ্যা নির্ধারিত নয়, তবুও সদস্যদের এমনভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় যাতে বেশিরভাগ দলই প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়।
জেপিসি কীভাবে গঠিত হয় ?
জেপিসি বেশ কয়েকটি দলের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হয়। কমিটিতে বিভিন্ন দলের নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের অনুপাতের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয়। এই কারণেই কোনও বিশেষ বা বিতর্কিত ইস্যুতে দলগুলি জেপিসির দাবি করে। সরকার জেপিসির সুপারিশগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করে, কারণ এই কমিটি বিষয়টি খুব ঘনিষ্ঠভাবে তদন্ত করে।
এখন পর্যন্ত এসব ক্ষেত্রে জেপিসি গঠন করা হয়েছে
• বোফর্স কামান সংগ্রহ মামলা, ১৯৮৭
• ব্যাংকিং লেনদেনে অনিয়ম, ১৯৯২
• শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, ২০০১
• সফট ড্রিঙ্কস এবং অন্যান্য পানীয়গুলিতে কীটনাশক কেস, ২০০৩
• 2G স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারী, ২০১১
• ভিভিআইপি চপার স্ক্যাম, ২০১৩
No comments:
Post a Comment