নেতৃত্বের পরিবর্তনের দাবি কংগ্রেসে প্রায় শতাধিক নেতার : সঞ্জয় ঝা

 কংগ্রেস থেকে বরখাস্ত হওয়া সঞ্জয় ঝা একবার দল হাইকমান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।  সঞ্জয় ঝা বলেন যে প্রায় ১০০ কংগ্রেস নেতা (এমপি সহ) রাজ্যের স্হিতি দেখে ব্যথিত।  কংগ্রেস কার্যনির্বাহী কমিটিতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে এই নেতারা কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছেন।

 এর আগে, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর নেতৃত্বের পরিবর্তনের জন্য সামনে রেখে আবারও পুরো সময়ের কংগ্রেস সভাপতির পদে সোচ্চার হন।  থারুর বলেছিলেন, নেতৃত্বের অগ্রগতির বিষয়ে কংগ্রেসের স্পষ্ট হওয়া উচিত এবং যদি রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হন, তবে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচন করা উচিত।

 

 কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন যে আমি গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসাবে সনিয়া গান্ধীর নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছি, তবে আমি বিশ্বাস করি যে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই বোঝা বহন করা তাঁর পক্ষে অন্যায্য।  রাহুল গান্ধী যদি পদত্যাগ প্রত্যাহার করতে চান তবে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসাবে চালিয়ে যেতে পারবেন, কারণ তাঁর মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত।

 সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুরও বলেছিলেন যে এই ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর 'শক্তি ও সামর্থ্য' রয়েছে যে তিনি আবারও দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।  তবে, রাহুল যদি আবার প্রেসিডেন্ট হতে না চান, তবে কংগ্রেসের উচিত নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মহড়া শুরু করা।

 

 কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে সনিয়া গান্ধীর মেয়াদ শেষ হয়েছিল ১০আগস্ট।  শশী থারুর বলেছিলেন যে অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসাবে দলের বোঝা সনিয়া গান্ধী বহন করবেন তা আশা করা অর্থহীন।  সুতরাং, কংগ্রেসের বর্তমান সময়ে একটি পূর্ণ-সময়ের প্রেসিডেন্ট খুঁজে পাওয়া দরকার।  জনগণের মধ্যে দলের প্রতি 'বিপর্যয়কর' পরিস্থিতি রয়েছে।