কংগ্রেসের এই টানাপোড়েন নিয়ে ইতিমধ্যেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বিস্তর আলোচনা হয়। তবে সমাধান খুঁজে না বের করতে পেরে শেষমেশ সোনিয়া গান্ধীর হাতেই ব্যাটন তুলে দিয়েছেন দলের কর্মীরা। সেক্ষেত্রে সোনিয়া গান্ধীর পছন্দের তালিকায় প্রথমেই প্রদীপ ভট্টাচার্যর নাম রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কারণ বরিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা কোনওদিনই তথাকথিত ভাবে মার্কামারা মমতা বিরোধী নন। আবার বামেদের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও প্রদীপ বাবুকে সভাপতির পদ দিতে রাজ্যে কিছুটা আপত্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে হাইকমান্ডের দ্বিতীয় পছন্দর তালিকায় অধীর চৌধুরীর নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও অধীর বাবুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের সম্পর্ক কার্যত অহিনকুল স্তরের। এই অবস্থায় অধীর বাবুকে পশ্চিমবঙ্গের মাথা করে নিয়োগ করলে সমঝোতায় গড়বড় হতে পারে। তাই অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এখনই সভাপতি হিসেবে প্রথম তালিকায় রাখা যাচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সভাপতি পদের তৃতীয় দাবীদার হিসেবে রয়েছেন আব্দুল মান্নান। তবে আব্দুল মান্নানের ক্ষেত্রেও সেই একই সমস্যা, যা অধীর চৌধুরীর ক্ষেত্রে। বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে নিলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কতটা সমঝোতা করতে পারবেন মান্নান এই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে দলের অন্দরেই।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে যেই আসীন হন না কেন সমঝোতার শর্ত মানতে হবেই তাদের। কারণ রাজ্যে লড়তে গেলে যে শক্তির প্রয়োজন তার জন্যে বামেদের সঙ্গে জোট অপরিহার্য। অন্যদিকে, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে তৃণমূলকে পাশে চান সোনিয়া। তাই এখন হাইকমান্ড চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এমন কারও হাতে যাক, যিনি বামেদের সঙ্গে জোট সুগম করার পাশাপাশি মমতা ও তৃণমূলের সঙ্গে কিছুটা হলেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে পারবেন। সেই লক্ষ্যেই সবদিক বিবেচনা করে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়োগ করা হবে জানা গিয়েছে।

No comments:
Post a Comment