ঘরের ছেলে ফের পুরোনো ঘরে ফিরছেন। সোমবার এমনই কিছু জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে। বিজেপি সূত্রে খবর, এরপরেই শোভনের প্রত্যাবর্তন আটকাতেই তড়িঘড়ি তার সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রায় এক বছর হয়ে গেল বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও গেরুয়া শিবিরের প্রবেশের পরেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে দলে মতবিরোধ তৈরি হয় তাঁর। কোন সভা সমিতিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু তা স্বত্তেও শোভনকে হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি।
রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বর্তমানে যথেষ্ট দাপট রয়েছে। এমনকি মেয়র হিসেবে যথেষ্ট কদর ছিল তাঁর। এদিকে পুর নির্বাচনের জন্য আপাতত সেরকম শক্তপোক্ত প্রার্থী নেই বিজেপির কাছে। তাই শোভনকে সামনে রেখেই পুর নির্বাচন করানো একপ্রস্থ ভাবে প্রায় ঠিক হয়ে গিয়েছিল, এমনটাই অন্তত জানা গিয়েছিল বিজেপি সূত্রে। যদিও শেষমেষ করোনার প্রকোপে আটকে যায় পুরনির্বাচন।
এদিকে শোভনের মত একজন দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হাতছাড়া করতে চায় না তৃণমূলও। মুখে না স্বীকার করলেও পুনরায় দলে ফিরে আসুক শোভন, এমনটাই চায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, অন্তত তৃণমূল সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সেই ইচ্ছা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দেখাশোনা করতেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপধ্যায়। তবে সোমবার দুপুরে কলকাতা পুরনিগমের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দলের সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শোভনপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও রত্না দাবী করেছেন, তিনি ওই ওয়ার্ড দেখভাল করতেন মাত্র। ওই ওয়ার্ডের দলের কোনও পদে বা দায়িত্বে ছিলেন না। আর দলের তরফ থেকে তিনি এই ধরনের কোনও বার্তা পাননি। যদিও দলীয় সূত্রে খবর, রত্নাকে সব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েই শোভনকে গ্রিন সিগন্যাল দিতে চাইছে দল।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এই পদক্ষেপ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ধাপ হিসেবে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরে এই প্রত্যাবর্তন আটকাতে তড়িঘড়ি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ীতে পৌঁছান কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রাক্তন মেয়রের উপরেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কলকাতার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিতে চায় বলেও বোঝানো হয় তাঁকে।

No comments:
Post a Comment