প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির পাশাপাশি তাঁর পাকিস্তানি ভক্ত মোহাম্মদ বশির বোজাইও ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। অর্থাৎ 'চাচা শিকাগো' নামে বিখ্যাত বশির স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচ আর দেখবেন না। তার পরবর্তী মিশনটি হল রাঁচি পৌঁছে ধোনির সাথে দেখা করা।
স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। এক ঘন্টা পরে সুরেশ রায়নাও নিজের অবসর ঘোষণা করন। একই সাথে আইসিসি টুর্নামেন্টে বশির সবসময় ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে আসতেন।
শিকাগোর বাসিন্দা বশির সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, "ধোনি অবসর নিয়েছেন, তাই আমিও অবসর নিচ্ছি। আমি তাকে ছাড়া ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে, ভ্রমণ করতে পারব না। আমি তাকে খুব পছন্দ করি এবং তিনি আমাকেও খুব ভালবাসেন । "
ধোনি বিদায় সম্মানের অধিকারী
চাচা বলেছেন, "সমস্ত দুর্দান্ত খেলোয়াড়কে এই সিদ্ধান্ত (অবসর) একদিন নিতে হয়, তবে আমি তার (ধোনি) অবসর নিয়ে খুব দুঃখিত।" আমার সেরা স্মৃতি তাঁর সাথে আছে। তিনি একটি দুর্দান্ত বিদায় সম্মানের অধিকারী ছিলেন। "
মহামারীর মতো পরিস্থিতি পরেই ধোনির সাথে করতে দেখা যাবেন
তিনি বলেছেন, "আমার পরবর্তী মিশনটি রাঁচি পৌঁছে ধোনির সাথে দেখা করা।" এটি তখনই সম্ভব হবে যখন করোনাভাইরাস মহামারী থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আমি এ বিষয়ে রামবাবুর (মোহালির অন্য ধোনি ভক্ত) সাথেও কথা বলেছি। আমি তাঁর (ধোনি) উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করছি। "
2018 এশিয়া কাপে ধোনি বাশিরকে তার জার্সি দিয়েছিলেন
২০১১ সালে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল দেখার জন্য চাচা শিকাগো মোহালি পৌঁছেছিলেন। সেখানে তিনি ম্যাচের টিকিট পাননি। এই সময় ধোনি টিকিট দিয়েছিলেন বশিরকছ। সেই থেকে চাচা বশির ধোনির টিকিটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেন। ২০১৮ এশিয়া কাপ চলাকালীন ধোনি বাশিরকে তার জার্সিও দিয়েছিলেন।
গতবছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ চলাকালীন সফর করেছিলেন বশিরও। সেখানে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, "আমি তাকে ফোন করি না। তিনি খুব ব্যস্ত। আমি কেবল বার্তার মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করি। তিনি মহান মানুষ ২০১১ বিশ্বকাপের পর থেকে তিনি আমার জন্য যা করেছেন, তার পরে আমি অন্য কারও কথা ভাবি না। "
No comments:
Post a Comment