বেশিরভাগ পেটের রোগ মন খারাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা যা কিছু খাই তার পেটের পাশাপাশি পুরো শরীরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে ধীরে ধীরে অম্লতা ও ফোলাভাবও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বদহজমের ঘরোয়া প্রতিকার (বদহজমের ঘরোয়া প্রতিকার) ব্যবহার করে পেটকে স্বাস্থ্যকর রাখা যায়। কাজের কারণে সঠিক সময়ে খাবার না খেয়ে এবং ক্ষুধা লাগলে কিছু না খেয়ে পেটের রোগ বাড়তে পারে। পেটের সমস্যাগুলির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার পেট ঠিক থাকে তবে রোগ হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এখন প্রশ্ন আসে, পেটের রোগ থেকে কীভাবে এড়ানো যায়। প্রথমত, পেটে কোন রোগগুলি হতে পারে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
মাথাব্যথা থেকে শুরু করে জ্বর, বমিভাব, অ্যাসিডিটি এবং ডায়রিয়ায় এর প্রভাব রয়েছে। তলপেটে ব্যথা এবং সংক্রমণও একটি সম্পর্কিত সমস্যা যেখানে কোনও ব্যক্তি ব্যথাতে শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে।
১. খালি পেটে প্রতিদিন যদি ২-৩ রসুনের কুঁড়ি খাওয়া হয় তবে পেটে সংক্রমণে আরাম পাওয়া যায়। এটিতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং সংক্রমণ রোধ করে।
২. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-টি লবঙ্গ চিবানো পেটের পক্ষে উপকারী বলে মনে করা হয়। লবঙ্গগুলিতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণকে দূরে রাখে এবং পাচনতন্ত্রকে উন্নত করে।
৩. পেট সংক্রমণে হলুদও কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে। এর জন্য এক চামচ হলুদ ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খান। মধু এবং হলুদের একটি মিশ্রণও সংরক্ষণ এবং সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এর জন্য ২ চা-চামচ হলুদে ৫-৬ চা-চামচ মধু মিশিয়ে একটি বাক্সে রেখে দিন। এবার প্রতি রাতে আধা চা চামচ খান।
৫. পেটের জন্য কলার চেয়ে ভাল আর কিছু নয়। পোকামাকড় বা আলগা গতি থাকলেও কলা খুব উপকারী। এটি পেটের সংক্রমণ দূর করতেও সহায়তা করে।
৬. পেটে যদি কোনও ধরণের সমস্যা হয় তবে আদাও এতে উপকার করে। এর জন্য এক টুকরো আদা নিয়ে তা পিষে সামান্য কালো মরিচ এবং এক চিমটি হিং পিষে নিন। ভাল করে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। খাবারের পরপরই ১ গ্লাস হালকা গরম জল পান করুন।

No comments:
Post a Comment