উত্তরপ্রদেশ বলিয়ার বেলথারা রোডে লোকজনকে মারধরের মামলায় এসডিএমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এসডিএম মারধর করে অনেককে গুরুতর আহত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, বেলথারা রোড, জেলা বালিয়া জেলা প্রশাসকের দ্বারা জনগণের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি অবহেলার পরে অশোক চৌধুরীকে তাৎক্ষণিক কার্যকর করে স্থগিত করার নির্দেশনা দাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের আদেশে অশোক চৌধুরীকে বরখাস্ত করে রাজস্ব কাউন্সিলের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
এসডিএম বেলথারা রোডে অশোক চৌধুরীকে লাঠি দিয়ে মানুষদের মারধর করার জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে তহসিল ক্যাম্পাসে, রাস্তায় ও বাজারে। মামলাটি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘটনার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে উপ-আধিকারিকের এই স্টাইলটি কাঠগড়ায় এসে পড়েছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বালিয়া জেলার বিথড়া রোড তহসিলের কাছে যারা সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহার করেন নি তাদের বিরুদ্ধে এসডিএম অশোক চৌধুরী একটি অভিযান শুরু করেছিলেন। পুলিশ নিয়ে আসা এসডিএম হঠাৎ করে কোণার আশেপাশের লোকজনকে মারধর শুরু করে।
এর পরে সেখানে লোকজন হতাহত হয়। লোকেরা এখানে এবং সেখানে দৌড়াতে শুরু করে। পুলিশ ও প্রহরীদের নিয়ে তহসিল চত্বরে লোকজনকে মারধর করার পরে তিনি বাজারের দিকে রওনা হন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাইক চালকদেরো লাঠিপেটা করেন।
এর পরে তিনি চৌকিয়ার মোড়ে পৌঁছেছিলেন, সেখানে তিনি মুদি দোকানে উপস্থিত রজত চৌরাসিয়াকে দোকান থেকে টেনে নামিয়ে মারতে শুরু করেন। তার একটি হাত ফাটিয়ে দেন এসডিএমক মারধর করে । ভাইকে বাঁচাতে এসে এসডিএমের সামনে দাঁড় করানো আশুতোষ চৌরাসিয়াকেও উপ-আধিকারিক লাঠিপেটা করে সৈন্যদের সাথে থানায় প্রেরণ করেন।
একজন দোকানদার মাস্ক পরেছিলেন, আর একজন মুখের উপরে রুমাল বেঁধেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে একটি যুবককে মুখোশ পরে থাকতে দেখা গেছে। তাকে এসডিএম চালিয়ে লাঠিপেটাও করতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন বলছেন যে সামাজিক দূরত্ব না অনুসরণ এবং মাস্ক প্রয়োগ না করার জন্য শাস্তি ও মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, এসডিএম দ্বারা লোকজনকে লাঠিপেটা করা সম্পূর্ণ ভুল।
No comments:
Post a Comment