সুশান্তের কোন কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে ছিলেন শ্রদ্ধা? জেনে নিঞ

 প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সাথে গত বছর 'ছিচোরে' মত হিট ছবিতে হাজির হন শ্রদ্ধা কাপুর। শ্রদ্ধা প্রথমে অদ্ভুত বোধ করত, বেশি কথা বলতেন না,শুধু কাজ করতেন। তবে শিঘ্রই তিনি সুশান্তের শক্তির প্রতি বিশ্বাসী হয়ে উঠলেন। শ্রদ্ধা নিজেই একটি বকবক বাক্সের মত সর্বদা কথা বলছেেন এবং ট্যুইট করছেন। তিনি কেবল অনুভব করেছিলেন যে সুশান্তকে বাদ দিয়ে সেটে বন্ধুত্ব সর্বাধিক হয়ে উঠেছিল।

সুশান্ত কারও সাথে খোলার জন্য সময় দিতেন। কিন্তু একবার যখন শ্রদ্ধার তার সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়, তখন সে তার সমস্ত গোপনীয়তা তাঁর সাথে শেয়ার করে নেওয়া শুরু করে।

সুশান্ত খুব জ্ঞানী ছিল, সবাই এটা জানে। শ্রদ্ধা কে মুগ্ধ করেছিল তা ছিল তার নিষ্পাপতা। যেখানে ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ নায়ক বড় যানবাহন, ব্যয়বহুল ঘড়ি, বিদেশী ছুটি নিয়ে কথা বলতেন, সুশান্ত জৈব চাষ, কোয়ান্টাম ফিজিক্স এবং শিশুদের পড়াশোনার বিষয়ে দীর্ঘ বিতর্ক করতেন। ছায়াছবি সম্পর্কেও তাঁর দুর্দান্ত জ্ঞান ছিল।

মুম্বই থেকে দূরে লোনাভলার কাছে পাভনা লেকের সামনের সুশান্তের একটি বাংলো এবং ফার্ম বাড়ি ভাড়া ছিল। তিনি প্রায়শই এখানে বন্ধুদের সাথে ছুটি কাটাতে আসতেন। সুশান্ত এখানে 'ছিচোরে' দলের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সারা দিন নৌকা চালানো, মাছ ধরা এবং পার্টি করার পরে সুশান্ত রাতে জেদ করে শ্রদ্ধাকে বাইরে নিয়ে যায়। অন্ধকার রাতে সুশান্ত তার দূরবীণটি নিয়ে শ্রদ্ধারকে বললেন, "আমাকে আমার নতুন বাড়িটি আপনাকে দেখাতে দিন।"

শ্রদ্ধা হতবাক হয়ে গেল। সুশান্ত চাঁদের দিকে ইঙ্গিত করে জানায় যে সে সেখানে একটি প্লট কিনেছে। শ্রদ্ধা সেই দিনই জানতে পারল যে সুশান্ত চাঁদে বিনিয়োগ করেছিল।

সুশান্ত শ্রদ্ধার সাথে তার স্বপ্নগুলি বর্ণনা করেছিলেন। বলেছিলেন যে তিনি শিঘ্রই অভিনয় ছেড়ে জৈব কৃষিকাজ করতে চান। শ্রদ্ধা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে এই মুহুর্তে তাঁর অভিনয় ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবা উচিত নয়।

একই সাথে সুশান্ত তাকে জানিয়েছিলেন যে সে তাকে তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। সুশান্ত তাকে দূরবীন থেকে একটি তারা দেখিয়েছিল। সুশান্তের চোখ তখন আর্দ্র। কিশোর বয়সে সুশান্তের মা মারা যান এবং সুশান্ত তাকে খুব মিস করতেন। শ্রদ্ধা তার সংবেদনশীলতায় কাঁদতে লাগল। শ্রদ্ধা স্বীকার করেছেন যে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার সময়ও সুশান্ত খুব আলাদা এবং বাস্তব ছিলেন।