নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপি বিধায়কে মৃত্যু ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এবারে বিজেপি বিধায়ক খুনে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করল বঙ্গ বিজেপি। যদিও মৃত বিধায়ক কোন দলে ছিলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েনের রাজনীতি। একদিকে বাম-কংগ্রেস দাবী করছে মৃত বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায় বামকং জোটের বিধায়ক ছিলেন। স্পিকারের কাছে তিনি ইস্তফা জমা দিলেও তা গৃহীত হয়নি বলে দাবী করা হয় জোটের পক্ষ থেকে। তবে মৃত বিধায়ক যে দলেরই হোক, এর নেপথ্যে যে বিজেপি আছে, এমনটাই দাবী করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে বিধায়ককেও রক্ষা করতে না পারার দায়ে সোমবার সকাল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবীতে সরব হয় বঙ্গ বিজেপি। এদিন এই দাবী তুলে রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ট্যুইটে লেখেন, 'তথাকথিত টিএমসি-র দুষ্টু ছেলেদের আর একটি হত্যাকান্ড। দেবেন্দ্রনাথ রায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করে চায়ের দোকানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি রাজ্যের মানুষকে নিরাপত্তা না দিতে পারেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করুন।' একইভাবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবী তোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।
অন্যদিকে এই ঘটনার সত্যতা জানতে এদিন সিবিআই তদন্তের দাবী তোলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “আজ তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। যে ভাবে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিষ্কার দেখলেই বোঝা যায় এটা একটা ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনামাফিক খুন। আমরা মনে করি, এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগসাজেস জড়িত। কারণ, উত্তর দিনাজপুরে যে ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি জনমত লাগাতার বাড়ছে আর তা থেকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের সিবিআই তদন্ত চাই।'
যদিও এই ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্তের কোন প্রয়োজনই নেই বলে মন্তব্য করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাহুল সিনহার উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে ফিরহাদ বলেন, ‘সিবিআই তে হবেটা কি? আমাদের এখানকার পুলিশ অনেক বেশি কেস করেছে সিবিআইয়ের থেকে। তাই আমরা প্রশাসনের ওপরই ভরসা রাখছি এর ফলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। আত্মহত্যা না খুন হয়েছে তাতে পুলিশের ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই।’
No comments:
Post a Comment