গাঁজা চোরাচালানকারীরা তাদের পথ পরিবর্তন করেছে। পিক-আপ এবং ট্রাকের পরে, এখন সরকারী বাসকে গাঁজা পাচারের জন্য একটি মাধ্যম করা হয়েছ। দার্জিলিং জেলা পুলিশের ফাঁসিদেওয়া থানার ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ, কোচবিহার থেকে কলকাতাগামী উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এনবিএসটিসি) বাস থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। গাঁজার সাথে দু'জন চোরাচালানকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের নাম পরিমল বর্মন এবং বাপ্পা বর্মন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর জাগরণ অনলাইনের
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘোষপুকুর চৌকির পুলিশ গত শুক্রবার রাতে একটি অভিযান চালিয়ে এনবিএসটিসি বাস থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। গাঁজা দুটি কার্টুন এবং দুটি কাপড়ের ব্যাগে লুকানো ছিল। পরিমল ও বাপ্পা বর্মণ পাচারকারী দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ এনডিপিএস আইনে মামলা করেছে। গ্রেপ্তারকৃত দু'জনই কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ থানা এলাকার বলরামপুর এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত দুজনকেই শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করা হয়েছে।
তথ্য মতে, গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত দার্জিলিং জেলা পুলিশের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ প্রায় সাড়ে এগারোশো কিলো গাঁজা উদ্ধার করেছে। ট্রাক ও পিকআপ থেকে গাঁজার সমস্ত চালান উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিশ ১৫ মে ২১৫ কেজি গাঁজা লঙ্কা বোঝাই পিকআপ, ২৯ জুন ২১ কেজি গাঁজা পিকআপ থেকে, ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ ৪ জুন ৬০০ কেজি গাঁজা ট্রাক থেকে, ৯ জুন ২০০ কেজি ট্রাক থেকে এবং ১৫ জুন, পিকআপ থেকে ৮০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগেও শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং জেলা পুলিশ একটি গাঁজার পেটি উদ্ধার করেছিল, তবে কোনও অবস্থাতেই সরকারী বাস থেকে পাচারের ঘটনা সামনে আসেনি।
এনবিএসটিসির বাস থেকে গাঁজা পাচারের এই ঘটনা প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে দার্জিলিং জেলা পুলিশের ডিসিপি (পল্লী) অচিন্ত্য দাশগুপ্ত জানান, বাসচালক ও খালাসিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত উভয়ই গাঁজা নিয়ে কোচবিহারের খাগড়া বাড়ী স্ট্যান্ড থেকে মালদা যাওয়ার বাসে চড়েছিলেন। আসামি দুজনকে শনিবার রিমান্ড চেয়ে শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment