জম্মু-কাশ্মীরের সোপোরের মডেল টাউন এলাকায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) একটি টহল দলের ওপর আক্রমণ করেছে জঙ্গিরা। এই হামলায় একজন সিআরপিএফ জওয়ানের শহীদ হওয়ার পাশাপাশি একজন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর রয়েছে। একই সঙ্গে বহু সেনাও আহত হয়েছেন। বলা হচ্ছে যে আক্রমণটি করার সময় লোকটি তার গাড়িতে করে যাচ্ছিল। আহত সকলকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিত্সা করা হচ্ছে।
তথ্য মতে উভয় পক্ষ থেকে ভারী গুলি চালানো হচ্ছে। দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসী ওই অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। অঞ্চলটি ঘেরাও করে দেওয়া হয়েছে। অঞ্চলটি অবরোধ ও অনুসন্ধান অভিযান শুরু করা হয়েছে। এর আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিজবেহরে সিআরপিএফ সেনার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এই আক্রমণে কুলগমের ইয়ারিপোরার এক নিরীহও প্রাণ হারান।
বলে রাখি যে, আজ জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় সুরক্ষা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে একটি লড়াইয়ে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন যে, মঙ্গলবার সকালে অনন্তনাগ জেলার দক্ষিণ কাশ্মীরের ওয়াগমায় নিরাপত্তা বাহিনী অবরোধ করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে জঙ্গিরা সুরক্ষা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে এনকাউন্টার শুরু হয়। এই কর্মকর্তা বলেছেন, এ পর্যন্ত দু'জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এও বলেছেন, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তারা কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার অনন্তনাগের খুলচোহর এলাকায় এক লড়াইয়ে তিন সন্ত্রাসীও মারা গিয়েছিল।
গত বিশ দিনে ৩৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে, সুরক্ষা বাহিনী এ বছর এ পর্যন্ত ১১০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। গত বিশ দিনে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক প্রায় ৩৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিং বলেছেন যে, এই সন্ত্রাসীরা লস্কর-ই-তৈয়বা, জাইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সাথে জড়িত ছিল। তারা এখন হতাশায় নিরীহ মানুষকে টার্গেট করছে।
No comments:
Post a Comment