করোনা পজিটিভ গর্ভবতী মহিলার ডেলিভারি করতে অস্বীকার করলো হাসপাতাল - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 31 July 2020

করোনা পজিটিভ গর্ভবতী মহিলার ডেলিভারি করতে অস্বীকার করলো হাসপাতাল


ত্রিপুরায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে ২৫ বছর বয়সী করোনাভাইরাস পজিটিভ মহিলা এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৈলাশহরের উনাকোটি জেলা হাসপাতাল থেকে মহিলাকে আগরতলার জিবি পান্ত হাসপাতালে (রাজ্যের প্রধান কোভিড -১৯ হাসপাতাল) রেফার করা হয়েছিল। দুটি হাসপাতালের মধ্যে দূরত্ব ১৩০ কিমি। জিবি পান্ত হাসপাতালে যাওয়ার সময়ই, মহিলাটি প্রসব যন্ত্রনা শুরু হয় এবং তিনি পথে একটি অ্যাম্বুলেন্সে শিশুটির জন্ম দেয়।

মহিলা এবং তার শিশু নিরাপদ। দুজনই জিবি পান্ত হাসপাতালে রয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গর্ভবতী মহিলাকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তিনটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও সকলেই চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করেছেন। মঙ্গলবার প্রসবের জন্য মহিলাকে প্রথমে উনাকোটি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়ার পরে তাকে করোনার কেয়ার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। মহিলাটি অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সময় যন্ত্রনা শুরু হয়েছিল। এ সময় নিকটস্থ জেলা হাসপাতাল কুমারঘাট ছিল।

সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাকে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও মহিলার প্রসব করাতে অস্বীকার করে এবং তাকে জিবি পান্ত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। আগরতলার কোভিড কেয়ার হাসপাতালের প্রায় ৫০ কিলোমিটার আগে, মহিলাটি একটি অ্যাম্বুলেন্সে শিশুটির জন্ম দেয়। মা-সন্তান দুজনেই নিরাপদ। আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিধান গোস্বামী এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, দুজনকে কোভিড -১৯ ওয়ার্ডে একসাথে রাখা হয়েছে। কৈলাশহর হাসপাতালের প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান, সুভাষিশ দেববর্মা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দু'দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।

তিনি বলেছিলেন, 'কৈলাশহর জেলা হাসপাতাল ওই মহিলার চিকিৎসা করতে অস্বীকার করায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত দলকে দুই দিনের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট সমরেন্দ্র দেববর্মা এ সম্পর্কে বলেছিলেন, 'মহিলাকে জিবি পান্ত হাসপাতালে রেফার করার আগে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। আমাদের এখানে একটি শ্রম কক্ষ এবং একটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। হাসপাতালে একটি কোভিড -১৯ ওয়ার্ড রয়েছে তবে গাইডলাইন অনুসারে আমরা করোনার কোনও গুরুতর রোগীকে চিকিৎসার জন্য আগরতলায় রেফার করি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad