বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য ১৫০০ কোটি টাকার গ্লোবাল টেন্ডার: রয়েছে চীনা কোম্পানি

চীনের সাথে উত্তেজনার মাঝেও ভারতে চীনা সংস্থাগুলি তাদের অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যকে প্রসারিত করে চলেছে।  আশ্চর্যের বিষয়, লাদাখে ভারতীয় ও চীনা সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও, চীনা সংস্থাগুলি ভারতের বড় দরপত্রগুলিতে যোগদান করছে এবং বিলিয়ন কোটি টাকার চুক্তি সম্পাদনে ব্যস্ত।

 চীনের একটি সরকারী সংস্থা ভারতের আধা-উচ্চ-গতির ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য চাওয়া বৈশ্বিক দরপত্রের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।  এই চীনা সংস্থাটির গুরুগ্রামে এই ফার্মের সাথে একটি যৌথ উদ্যোগ রয়েছে।

 ভারতীয় রেলপথের  হাই-স্পিড ট্রেন বন্দে ভরত এক্সপ্রেসের জন্য একটি প্রপালশন সিস্টেমের প্রয়োজন।  ভারতীয় রেলপথ ৪৪ টি প্রোপালশন সিস্টেমের জন্য বিশ্ব দরপত্র আহ্বান করেছে।  চীনা সরকারী সংস্থা সিআরআরসি পাইওনিয়ার ইলেকট্রিক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডও এই দরপত্রের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 গুরুগ্রামের সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব রয়েছে

 সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী সিআরআরসি পাইওনিয়ার ইলেকট্রিক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের একটি গুরুগ্রাম সংস্থার সাথে একটি চুক্তি রয়েছে এবং এই দুটি সংস্থা ভারতে একসঙ্গে কাজ করে।  চীনের সংস্থা সিআরআরসি যখন লাদাখে চীনের সাথে সংঘাত সৃষ্টি করেছে তখন ভারতের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 শুক্রবার, রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব বলেছিলেন যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রোপালশন সিস্টেম কিনতে আমন্ত্রিত টেন্ডারে সিআরআরসি পাইওনিয়ার ইলেকট্রিক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

 এই দরপত্রের জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লির বিএইচএল, সংগ্রুর ভারত ইন্ডাস্ট্রিজ, নয় মুম্বাইয়ের পাওয়ারনেটিক্স সরঞ্জাম প্রাইভেট লিমিটেড, হায়দরাবাদের মেধা গ্রুপ এবং পারওয়ানোর ইলেক্ট্রোওয়েভস ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড।


 মেক ইন ইন্ডিয়া প্রচারের আওতায় এই ট্রেনগুলির জন্য এটি তৃতীয় দরপত্র।  কর্মকর্তারা বলছেন যে এই দরপত্রের পরিমাণ হবে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা।

 এর আগে, ভারতীয় রেলপথ কানপুর এবং দীনদয়াল উপাধ্যায় বিভাগের মধ্যে সিগন্যালিং এবং টেলিযোগযোগের জন্য একটি চীনা কোম্পানির জন্য ৪৭১ কোটি টাকার চুক্তি বাতিল করেছে।