বাংলার সরকারী জেলা হাসপাতালের চূড়ান্ত অবহেলার একটি ঘটনা আবার প্রকাশ্যে এসেছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হঠাৎ রোগী মারা যান। হাসপাতাল মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মৃত্যুর শংসাপত্রে হার্ট ফ্যালিয়র কে মৃত্যুর কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন, পরিবারটিকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল যে ব্যক্তিটি কোভিড -১৯ পজিটিভ ছিলেন।
পরিবাররে লোকজন তাকে শ্মশানে নিয়ে দাহ করে। এসময় নিহতদের সংস্পর্শে আসেন আত্মীয়স্বজনসহ অনেক লোক। এক সপ্তাহের মধ্যে হাওড়ায় এ জাতীয় দুটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। হাওড়া জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম নিয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেরিতে রিপোর্ট আসার কারণে এ জাতীয় ঘটনাগুলি ঘটছে বলে অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার জাগাছা থানার বকুলতলা লেনে বসবাসরত ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের কারণে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু ১৭ জুলাই তার অবস্থার তীব্র অবনতি ঘটে। তিনি মারা যান যেহেতু সেই সময় করোনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। তারপরে একই দিন তার বাড়ি ও পাড়ার লোকেরা তাকে শ্মশানে নিয়ে দাহ করেন । পরের দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতর নিহতের পরিবারকে জানিয়েছিল যে ব্যক্তিটি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এরপরে জানা যায় জড়িতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে গত ৯ জুলাই হাওড়ার শিবপুরের দালালপুকুর এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে অভিযোগ করা হয়েছে যে তার রিপোর্টও দু'দিন পরে এসেছিল। এ ক্ষেত্রেও হাসপাতাল প্রশাসন নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।
তাত্পর্যপূর্ণভাবে, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশাবলী অনুযায়ী, কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা উচিত নয় যাতে করোনার সংক্রমণটি দ্রুত ছড়িয়ে না যায়। শেষকৃত্যগুলি পৌরসভা ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকেরা যৌথভাবে সম্পাদন করেন। তবে হাওড়া শহরের বেশ কয়েকটি মামলায় দেখা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেরিতে জানিয়েছে যে নিহতদের পরিবার নিজেরা লাশকে শেষকৃত্য করেছিল। এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এখানে এই ঘটনার বিষয়ে জেলা চিফ হেলথ অফিসার ভবানী দাস ফোনে বলেন যে প্রোটোকল অনুযায়ী করোনার শিকারের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা উচিত নয়। নিহতদের পরিবার কেন দেরিতে করোনার প্রতিবেদন পাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে তিনি সংক্রমণ সম্পর্কে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পরিবাররে লোকজন তাকে শ্মশানে নিয়ে দাহ করে। এসময় নিহতদের সংস্পর্শে আসেন আত্মীয়স্বজনসহ অনেক লোক। এক সপ্তাহের মধ্যে হাওড়ায় এ জাতীয় দুটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। হাওড়া জেলা হাসপাতালের কার্যক্রম নিয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেরিতে রিপোর্ট আসার কারণে এ জাতীয় ঘটনাগুলি ঘটছে বলে অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার জাগাছা থানার বকুলতলা লেনে বসবাসরত ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্টের কারণে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু ১৭ জুলাই তার অবস্থার তীব্র অবনতি ঘটে। তিনি মারা যান যেহেতু সেই সময় করোনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি, তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশটি নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। তারপরে একই দিন তার বাড়ি ও পাড়ার লোকেরা তাকে শ্মশানে নিয়ে দাহ করেন । পরের দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতর নিহতের পরিবারকে জানিয়েছিল যে ব্যক্তিটি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এরপরে জানা যায় জড়িতদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে গত ৯ জুলাই হাওড়ার শিবপুরের দালালপুকুর এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে অভিযোগ করা হয়েছে যে তার রিপোর্টও দু'দিন পরে এসেছিল। এ ক্ষেত্রেও হাসপাতাল প্রশাসন নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।
তাত্পর্যপূর্ণভাবে, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশাবলী অনুযায়ী, কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা উচিত নয় যাতে করোনার সংক্রমণটি দ্রুত ছড়িয়ে না যায়। শেষকৃত্যগুলি পৌরসভা ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকেরা যৌথভাবে সম্পাদন করেন। তবে হাওড়া শহরের বেশ কয়েকটি মামলায় দেখা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেরিতে জানিয়েছে যে নিহতদের পরিবার নিজেরা লাশকে শেষকৃত্য করেছিল। এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এখানে এই ঘটনার বিষয়ে জেলা চিফ হেলথ অফিসার ভবানী দাস ফোনে বলেন যে প্রোটোকল অনুযায়ী করোনার শিকারের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা উচিত নয়। নিহতদের পরিবার কেন দেরিতে করোনার প্রতিবেদন পাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে তিনি সংক্রমণ সম্পর্কে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment