২০১৮ এর ডিসেম্বরে, গরু জবাইয়ের সন্দেহের ভিত্তিতে উত্তর প্রদেশের বুলান্দশহর মব সহিংসতায় জনতা সহিংসতায় ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ ( নিহত হয়েছেন। এখন এই বিষয়টি আবারও শিরোনামে। আসলে, বিজেপির বুলন্দশহর জেলার সভাপতি অনিল সিসোদিয়ার একটি ছবি সামনে এসেছে। এই ছবিতে শিখর আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তিকে তাঁর সাথে দেখা হচ্ছে। শিখর আগরওয়াল একই ব্যক্তি যিনি ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমারের হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছিলেন।
অনিল সিসোদিয়া 'প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণ যোগী সচেতনতা প্রচার' সংগঠনটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন যে তারা ভারতবর্ষের প্রকল্পগুলির প্রচার করছে। তাঁর দাবি, বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা তাঁর পরামর্শদাতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে বিজেপি জেলা সভাপতি শিখর আগরওয়ালকে একটি শংসাপত্র দিতে দেখা যাচ্ছে। শংসাপত্রে শিখরকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলা হয়েছে। শিখর বিজেপির যুব শাখার স্থানীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পরে অনিল সিসোদিয়া ফোনে কথা বলার সময় এ বিষয়ে বলেছিলেন, 'বিজেপির সঙ্গে এই সংগঠনের কোনও যোগসূত্র নেই। আমাকে প্রধান অতিথি হিসাবে ডাকা হয়েছিল। এ ব্যপারে আর কিছু বলার নেই। সিসোদিয়া স্পষ্টভাবে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি।
এই ছবিটি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শিখর আগরওয়াল বলেছিলেন, 'অভিযোগ এক জিনিস এবং প্রমান করা আলাদা। আমি জীবনে কোন ভুল করি নি।
প্রকৃতপক্ষে, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ এ, গরুবংশের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পরে বুলান্দশাহরের সায়না এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইতিমধ্যে সেখানে লোকজনের ভিড় ছিল। পুলিশ জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিল যে তারা নিজেই পুলিশকে আক্রমণ করেছে। সহিংসতায় পুলিশ ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ নিহত হন। একই সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমিত নামে এক যুবকও মারা যান।
পরিদর্শক সুবোধ কুমার সিংহকে কেবল গুলি করা হয়নি, প্রথমে কুঠার দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহতও করা হয়েছিল। তার আঙ্গুলগুলিও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাকে পরিদর্শকের লাইসেন্স রিভলবার ছিনিয়ে নিয়ে গুলি করা হয়েছিল। পরে হামলাকারীরা সুবোধ কুমারের মরদেহ তার নিজের গাড়িতে করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের অনেকেই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
গত বছরের আগস্টে, বুলন্দশহর সহিংসতার ৩৩ আসামির মধ্যে ৭ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শিখর আগরওয়াল। কারাগারের বাইরে শিখর আগরওয়ালকে মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয় এবং 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেওয়া হয়। এ নিয়েও অনেক বিতর্ক হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment