জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিদিন মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের তীব্র প্রতিবাদ চলছে। সেই প্রতিবাদের ঢেউ এসে লেগেছে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজের বাইরেও। সেখানে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ এত ভয়ানক ছিল যে একঘণ্টার জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল মাটির তলার বাঙ্কারে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ ঘণ্টা মাটির তলার বাঙ্কারে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, প্রতিবাদের তীব্রতা। আগের দিন শনিবার রাত থেকে খবর আসতে থাকে, হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার প্রতিবাদী। তারা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে টানা প্রতিবাদ করে চলেছেন।
রবিবার রাতে হোয়াইট হাউজের সামনে আগুন লাগার ঘটনা প্রথমে সামনে আসে। রাত ১১ টার পর জড়ো হন সাধারণ মানুষ। হোয়াইট হাউজের কাছেই একাধিক উৎস থেকে আগুন চোখে পড়ে। দেখা যায় একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দেখা গিয়েছে, সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছে কোথাও গ্রাফিতি আঁকছেন, কোথাও জ্বলছে আতশবাজি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার এন্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনস নামে সংগঠনটির ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে প্রতিবাদীরা। তবে এর পরেও ট্রাম্প সুর নরম করতে চান না। প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি একের পর এক ট্যুইট করেছেন রবিবার।
তার অভিযোগ, যারা কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তারা নৈরাজ্যবাদী। জাতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের এখনই সব ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। সারা পৃথিবী আমেরিকাকে দেখে হাসছে। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রতিবাদীরা প্রতিবাদের নামে গাড়ি ভাঙছে, দোকান লুঠ করছে। ট্রাম্পের দাবী বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গিয়ে দেশের প্রগতিশীল বামপন্থী শক্তিগুলি দেশের মধ্যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment