দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী খ্যাত মুম্বাইয়ের সুরক্ষার সাথে সম্পর্কিত একটি বড় সংবাদ আছে। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভরা ফোন এসেছে। এই ফোনটি পাকিস্তান থেকে তাজ হোটেলে এসেছে। ফোনে লোকটি বলেছে, "সবাই করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যক্ষ করেছে। এখন তাজ হোটেলে ২৬/১১-এর মতো আক্রমণ আবারও হবে।"
মুম্বাই পুলিশকে তৎক্ষণাৎ ফোন কলটি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। মুম্বাই পুলিশ সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়িয়েছে। রাতারাতি, মুম্বাই পুলিশ এবং হোটেল কর্মীরা একসাথে সুরক্ষা পরিদর্শন করেছেন। এখানে আসা অতিথি এবং তাদের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া দক্ষিণ মুম্বাইয়ে পুলিশি অবরোধ বেড়েছে।
২৬/১১ মুম্বই আক্রমণ
২৬ নভেম্বর ২০০৮-তে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। প্রায় ৬০ ঘন্টা চলা এই হামলায় ১৬৬ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন এবং ৩০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছিল। যারা মারা গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ২৮ জন বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। এই আক্রমণ পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দোরগোড়া এসে দাঁড়িয়েছিল।
একমাত্র সন্ত্রাসী আজমল কাসাব মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় জীবন্ত ধরা পড়েছিল। এই ঘটনা সম্পর্কে তাকে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা পুরোপুরি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, যেখানে এই ঘটনায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকালে পুনের ইয়ারওয়াদা কারাগারে কাসাবকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। কাসাবের মৃত্যুর আগে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা পাকিস্তানে মুম্বাই হামলার পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি তথ্যই বের করে নিয়েছিল।
২৬ নভেম্বর, ২০০৮ ভারী হাতিয়ারে সজ্জিত ১০ পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা করাচী থেকে সমুদ্রপথে নৌকায় করে মুম্বাই প্রবেশ করেছিল। এই সন্ত্রাসীরা ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে টার্মিনাস, তাজমহল হোটেল, ট্রিডেন্ট হোটেল এবং একটি ইহুদি কেন্দ্র আক্রমণ করেছিল।
No comments:
Post a Comment