গ্রাহক না পেয়ে বেশিরভাগ যৌনকর্মীকে বাড়ী ফিরতে হয়েছে

করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের কারণে দিল্লির অনেক যৌনকর্মী অনাহারে পথে এসে দাঁড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি লোক নিজ রাজ্যে ফিরে এসেছেন।  যৌনকর্মীরা বলছেন যে এখন পর্যন্ত তারা খাবার পান না।  ভয়ঙ্কর রোগের কারণে গ্রাহকরা ভয় পাচ্ছেন , যা তাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। 

 দেশজুড়ে যৌনকর্মীদের আইনগত অধিকার, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা ইস্যুতে কাজ করা একটি দল অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক অফ সেক্স ওয়ার্কার্সের (এআইএনএসডাব্লু) সভাপতি কুসুম বলেছেন, দিল্লির ৬০ শতাংশ যৌনকর্মী স্বদেশে চলে গেছে।  তিনি বলেছেন যে "সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে দিল্লিতে মোট নিবন্ধিত যৌনকর্মীর সংখ্যা পাঁচ হাজার এবং স্বদেশে ফিরে আসা যৌনকর্মীর সংখ্যা তিন হাজার।" তিনি আরও জানান যে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবার ও ওষুধের মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে তারা শহর ছাড়তে বাধ্য করা হয়।  একজন যৌনকর্মী বলেন যে আট বছর দিল্লিতে থাকার পরে অবশেষে তিনি উত্তর প্রদেশের নিজের গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন। 

 ২৬ বছর বয়সী এই মহিলা বলেছিলেন, "আমি ১৮ বছর বয়সে উত্তরপ্রদেশের আমার বাড়ী থেকে পালিয়ে এসেছি।  আমি অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলাম কিন্তু জীবিকা নির্বাহের জন্য এই ব্যবসায় এসেছি। লকডাউন যখন, ঠিক তখন থেকেই কোনও গ্রাহক নেই এবং সমস্ত জমানো অর্থও শেষ হয়ে গেছে। আরেকজন জানিয়েছেন যে, তিনি এবং তাঁর চার বছরের ছেলে দুই মাস ধরে ঠিক মতো খাওয়া হয়নি। ছেলে যখন দুর্বলতার কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তখন সে বাড়ী ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  অন্যান্য অনেক যৌনকর্মীও একই রকম অসহায়ত্বের শিকার।  এই সমস্ত যৌনকর্মী জিবি রোডে থাকেন যেখানে প্রায় একশ পতিতালয় রয়েছে, প্রায় ১৫০০  জন যৌনকর্মী রয়েছেন।