টিকটক তারকা সিয়ার আত্মহত্যার পেছনে তবে কি এই কারণটাই দায়ী !

পূর্ব দিল্লির গীতা কলোনী অঞ্চলে দেশের বিখ্যাত টিক টক স্টার সিয়া কাক্কর (১৬) তার বাড়ীতে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে সিয়া একটি বড় অবস্থান অর্জন করেছিলেন। টিক টক-এ ১১ লাখ লোক অনুসরণ করতেন সিয়াকে। একই সময়ে, ইনস্টাগ্রামে তাঁর সাথে প্রায় ৯১ হাজার মানুষ যুক্ত ছিলেন। সিয়ার আত্মহত্যায় উদ্বিগ্ন ভক্তরা নিজেদের মতন করে তাঁকে স্মরণ করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেলিব্রিটির কারণে দিল্লি পুলিশ খুব সচেতন এবং সতর্ক ভাবে তদন্ত করছে। শত্রুতা, লেনদেন সহ বেশ কয়েকটি কোণ মিলিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। পুলিশ সিয়ার বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এবং কলেজের সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

পুলিশ সিয়ার মোবাইল ফোন জব্দ করেছে
একদিন আগে বুধবার ভিডিওটি আপলোড করার পরে কেন সিয়া আত্মহত্যা করেছিল? এটি এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোটও উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ সিয়ার মোবাইল জব্দ করেছে।

হুমকি আসছিল
পারিবারিক সূত্র বলছে যে কিছু লোক সিয়াকে হুমকি দিচ্ছিল। এতে তিনি বিচলিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে, পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন যে, তদন্তের পরেই এ বিষয়ে কোনও ধরণের মন্তব্য করা যেতে পারে। বর্তমানে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তথ্য অনুসারে, সিয়া গীতা কলোনিতে ১৩ ব্লকে কাক্কর পরিবারের সাথে থাকতেন। বুধবার রাতে, তিনি টিক টক-এ তার শেষ ভিডিওটি রেখেছিলেন। এ ছাড়া তিনি তাঁর পরিচালক অর্জুনের সাথে একটি গানের কথাও বলেছেন। অর্জুন বলেছেন যে, কথোপকথনে মনে হয়নি যে তিনি খারাপ ছিলেন। রাত বারোটার দিকে নিজের ঘরে ফাঁসি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। রাতে পুলিশ খবর পেয়েছিল। পুলিশ লাশ নিয়ে যান সেই রাতেই।

সিয়ার আত্মহত্যা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিয়ার ভক্তরা শোক প্রকাশ করছেন। একই সঙ্গে তাঁর বাড়ীতেও নীরবতা রয়েছে। পরিবার কারও সাথে কথা বলতে প্রস্তুত নয়। বাবা ইন্দর কাক্কার কারও সাথে কথা বলতে রাজি হননি। একই সাথে, বোন এবং ভাই বলেন, যে সে চলে গেছে এবং সমস্ত লোক তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন।