বিধানসভা ভোটের হযবরল : গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্ট দেখুন ভিডিওতে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 12 June 2020

বিধানসভা ভোটের হযবরল : গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্ট দেখুন ভিডিওতে




ভোটের হ য ব র ল নিয়ে আমি তৃণা। নমস্কার সবাইকে। আমাদের যুক্তি ব্যাখ্যা গ্রাউন্ড জিরো থেকে নেওয়া সাধারণ মানুষের ,রাজনৈতিক মানুষের ও নেতৃত্বের থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর। আমাদের টিমের আদর্শ সংবাদের। কোনও রাজনৈতিক দলের ভক্ত পোষ্য নয়। ফলে আমাদের কাজ আমাদের মত। আপনাদের কাছে নতুনত্ব। তাই বলব নিয়মিত আমাদের সমীক্ষা আলোচনা দেখতে সাবসক্রাইব করে নিন। পছন্দ না হলে পরে সাবসক্রাইব তুলে নেবেন। এটার জন্য কোনও টাকা লাগেনা। আমাদের সাথে কাজ করতে চাইলে পঁচিশের মধ্যে তরুন তরুণীরা যোগাযোগ করবেন। কোন নাগরিক যদি তার মতামত জানাতে চান ভিডিওটির  ডেসক্রিপশনে মেইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।

করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধির পরিবেশেই 21এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। অর্থনীতি ধ্বংস। ফলে ভোটের খরচ অন্যতম উদ্বিগ্নের বিষয়। সামাজিক দুরত্ব মেনে ভোট করা নির্বাচন কমিশনের কাছে নতুন ও বাড়তি চ্যালেঞ্জ। অনেকেই বলছেন, হিংসা জুলুম ও অত্যাচারের পর্ব মুছে ফেলা বিহারের সাথে ভোট হতে পারে বাংলায়। রব উঠেছে শাসকের প্রস্থান নিশ্চিত। সংবাদ মাধ্যম বলছে, ভোট গুরু পিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন খারাপ রিপোর্ট। পুলিশের অন্দরে বড়ো হচ্ছে ক্ষোভ। কর্মীরা কেউ বাম তো কেউ গেরুয়া বাহিনীর সাথে অন্ধকারের ভাইরা ভাই। জনগনের মনে সেই শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভালোবাসার দূর্বলতার যায়গায় একটাই বাক্য, তোমার থেকে এটা আশা করিনি । এই পরিস্থিতিতে স্বপ্ন দেখছে বাম। লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া 7 শতাংশ ভোটকে 47 শতাংশ করে ফের ক্ষমতায় আসবে।এই দীবা স্বপ্ন অবশ্য দেখছেন আদর্শবাদে মত্ত ফেসবুক বিপ্লবী কমরেডরা। নেতৃত্ব নয়।

তাহলে লড়াই কাদের সাথে হবে শাসক দলের। নেতা সংগঠন বিহীন বিজেপির সাথে? নাকি বামেদের সাথে।


বামেরা কি ফের চাঙ্গা হচ্ছে রাজ্যে ? অনেকেই ভাবছেন ত্রিশঙ্কু ফল হতে পারে ২১ এর নির্বাচনে। গ্রাউন্ড জিরো থেকে পাওয়া খবর, তৃণমূল ভোট ভাগাভাগি করে জিততে বামেদের চাগিয়ে দিয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা নানা রকম কুৎসা অপপ্রচার ও দূর্নীতির থেকেও বড়ো ভুল শুধু নয় ঐতিহাসিক ভুল হতে চলেছে এটাই। তৃণমূলের অক্সিজেনে জেগেছে বাম। বামেদের এই নড়েচড়ে ওঠায় অবশ্য আম জনতার মধ্যে কোনও ছাপ ফেলতে পারেন।

চায়ের দোকানের মাস্ক পরা তর্কে বাম আসেনি এখনও। জোর করে ঢুকিয়ে দিতেই একজন বললেন, বৃষ্টি হলে অনেক গাছ জন্মায় সব গাছ কাজের নয় দামের নয় তবে জঙ্গল করে রাখে। অক্সিজেন দেয়। বাম হল এরকম। তৃণমূলের লোকাল নেতারা জিততে গিয়ে যে গেম প্লান করেছে পিকে সাহেব কে পাত্তা না দিয়ে তার ফল পাবে। বিধানসভা ভোটে 100 আসন পাবে না।

চায়ের দোকানের রাজনৈতিক তরজা ফেসবুকের শিক্ষিত আদর্শবাদ ভক্ত ও তৃণ প্রেমীদের থেকে ভদ্র। সভ্য। তথ্য ভিত্তিক। এখানে কেউ কাউকে বলেনা গো মাতার সন্তান, ভাম, চাড্ডি কিংবা দিদির ভাইদের চামড়া তুলে নেব হুঁশিয়ারি নেই । ফলে তথ্য মেলে।

বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিক্ষিত বামেরাই মেধাবী ভোটযন্ত্র হয়ে উঠছে গেরুয়া শিবিরে। সামাজিক মাধ্যমে বিজেপির একটি পোষ্ট পড়ে শোনাই তাহলে বুঝতে পারবেন এগিয়ে কারা?



মাঠে এবার নামো সাথী.... লালচারা গজাচ্ছে। এদের সমূলে উচ্ছেদ করার সময় এসে গেছে। ফান্ডিং থেকে ব্র্যান্ডিং ওদের সব আছে! আর্বি দিনারে থলিও ভরছে... উই শ্যাল ওভারকামের হুইসেল শোনা যাচ্ছে। গোপনে এলাকা ভিত্তিক পকেট তৈরি করে চলছে মগজ ধোলাই। নৈতিক সমর্থন পাচ্ছে আদর্শগত বিরোধীদের কাছ থেকে।

 ওরা ৭% বলে অবহেলা করবেন না, খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পটা মনে আছে তো? ২১-এর ভোট ওদের কাছে দি লাস্ট ফ্রন্টিয়ার, অসম্ভব একতা লক্ষ্য করছি। লেফটিস্ট গ্রুপগুলো লেফট করুন, থাকলেও কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি মার্কড হয়ে যাচ্ছেন। ওরা দেশের শত্রু, মুঘল আর ব্রিটিশদের পর ভারতের বুকে তৃতীয় অনুপ্রবেশকারী।

মিছিলের পাকাচুল দেখে খিল্লি করবেন না। ওটা ওরা নিজেদের খুব তাড়াতাড়ি মডিফাই করে নিয়েছে। শুধু এইট বি তেই ওরা সীমাবদ্ধ নয়। আমার আপনার মাঝে থেকে চর বৃত্তি করছে।

 আমেরিকার ঘটনায় ওরা অনুপ্রাণিত, অনেক হ্যাজ নামাচ্ছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে নাগাড়ে দেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এদের নিশানা ১৮-২৪ বছরের উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে গুলো। অপরিমিত জীবনযাপন, মিথ্যে মানবতার বুলি, আর মাদক এই তিনের ককটেলে বিপ্লব কিন্তু দাঁড়াচ্ছে।

সোনার পাথরবাটি মার্কা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে এক্সপার্ট স্বপ্ন কি সওদাগরদের হাত ওদের মাথায়। এলিট ক্লাসের দুর্বুদ্ধি,  পিছিয়ে পড়াদের মিস গাইডেন্স আর মিছরি লাগানো কথার ফাঁদে আজ সমাজের এক বড়ো অংশকে বোকা বানানো হচ্ছে। চোখ কান খোলা রাখুন....লোকাল রেড আর্মির ভারী বুটের শব্দ শোনা যায়।

প্যারেড সাবধান!  বিশ্রাম অনেক হলো। এবার জাগো।

প্রতিবেদনটি www.bharatzen.com থেকে নেওয়া। প্রতিবেদনের বিষয়টি প্রেসকার্ড নিউজের মতামতের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad