এবারে প্লাজমা থেরাপিতে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ! - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 30 May 2020

এবারে প্লাজমা থেরাপিতে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার !




করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত রেমডেসিভিরসহ অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের চূড়ান্ত ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটি। বুধবার (২৭ মে) সর্বশেষ করোনা গাইডলাইনে এ পরামর্শ দেয় ডব্লিউএইচও।

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় কোনও ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বুধবার সংস্থাটি সর্বশেষ করোনা গাইডলাইনে বলেছে, তাদের আগের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনা হয়নি। পূর্ববর্তী এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানসম্মত গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে গাইডলাইনগুলো তৈরি করা হয়েছে।

রেমডেসিভির এবং অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বলেছে, কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনার চিকিৎসায় এসব ওষুধের কোনটিরই উচ্চমানের ইতিবাচক ফল পাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। এমনকি এসব ওষুধের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

এর আগে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটি করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ারোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয়। সংস্থাটি বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে মৃদু এবং ৪০ শতাংশের মাঝারি উপসর্গ দিয়ে রোগটির শুরু হয়।

এছাড়া ১৫ শতাংশের গুরুতর আকার ধারণ করে; যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। অন্য ৫ শতাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়; যারা আগে থেকে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রথম উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর এই ভাইরাস বিশ্বে প্রাণ কেড়েছে ৩ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি এবং আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬০ লাখ ৬০ হাজার।

বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের দেড়শ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এর কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে অন্তত ৬টি প্রথম ধাপের ট্রায়াল সফল হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে। এমনকি করোনার কোনও ভ্যাকসিন কখনও নাও পাওয়া যেতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad