দুর্যোগের বুধবার; ফের ঝড়ের কবলে বাংলা, মৃত ২ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 28 May 2020

দুর্যোগের বুধবার; ফের ঝড়ের কবলে বাংলা, মৃত ২



প্রকৃতির মার থেকে রাজ্যের আর রেহাই নেই। ঠিক এক সপ্তাহ আগে আম্ফান তাণ্ডবে কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার।

বুধবার রাতের কালবৈশাখী তাকে ছুঁতে না-পারলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ দিনের ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক অতীতে এমন প্রবল কালবৈশাখী দেখা যায়নি। ঝড় কবলিত ও বানভাসি এলাকার মানুষ ফের বিপদে পড়েছেন। কলকাতায় আবার গাছ ও বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছে।

হুগলির আরামবাগে গাছ পড়ে এদিন লালমোহন রায়গুপ্ত (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত। দুর্গাপুরে বাজ পড়ে এক জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোপাল যাদব (৪০)। বাড়ী মাধাইপুরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা ছিল। সেটি দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরেছে। অক্ষরেখার টানে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে এবং বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি করেছে।

আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানান, এদিন বঙ্গপোসগরের উপরে সার দিয়ে মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। আগামী কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি চলতে পারে। রাতে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন ঝড়ে কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বসু রোড এবং লেক রোডের সংযোগস্থল, বেলেঘাটা মেন রোড, চাউল পট্টি রোড, নারকেলডাঙা মেন রোড, রাজা বসন্ত রায় রোড-সহ কয়েকটি জায়গায় ফের গাছ ভেঙেছে। কাশীপুর রোড এবং চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের সংযোগস্থলে বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে। বাসন্তী হাইওয়েতেও গাছ পড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ঝড় হয় প্রায় ৪০ মিনিট।

বসিরহাটের কাছে টাকি রোডে বিদ্যুতের খুঁটি  ভেঙে পড়ে। ফের বাড়ীর চাল উড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়েছেন বহু মানুষ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad