প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে স্পেশাল ট্রেন এসে পৌঁছাল রায়গঞ্জ স্টেশনে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 21 May 2020

প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে স্পেশাল ট্রেন এসে পৌঁছাল রায়গঞ্জ স্টেশনে




প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে দিল্লি থেকে আনন্দবিহার- রাধিকাপুর সীমাঞ্চল  স্পেশাল ট্রেন এসে পৌঁছাল রায়গঞ্জ স্টেশনে।  তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কাউন্সিলরগন স্টেশনে তাদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি  ৮৮ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে পানীয় জলের বোতল,  খাবারের প্যাকেট ও মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাস পরিষেবার মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে গতকাল বিকেল থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিষেবা দিতে খানিকটা বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় রায়গঞ্জ পুরসভা কর্তৃপক্ষকে।  জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে  ভিনরাজ্য থেকে আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমনের কারনে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে। লকডাউনের কর্মহীন হয়ে যাওয়ায় অনেকটা ট্রাকে করে চলে এসেছেন। ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার তাদেরকে বাড়ী ফেরার জন্য বিশেষ  ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের ঢিলেমীর কারনে প্রচুর দেরীতে ট্রেন এসে পৌঁছায় রায়গঞ্জ স্টেশনে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার জায়গায় ট্রেন এসে পৌঁছায় বৃহস্পতিবার  দুপুর ১০টা নাগাদ রায়গঞ্জ স্টেশনে। দিল্লি ও অন্যান্য রাজ্য থেকে মোট ৮৮ জন পরিযায়ী শ্রমিক নামেন রায়গঞ্জ স্টেশনে। 

বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও  রায়গঞ্জ পুরসভার পক্ষ থেকে আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে খাবারের প্যাকেট, পানীয় জলের বোতল এবং মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস নিজে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখভাল করেন। তারপর তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করে নির্দিষ্ট বাসে তুলে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পাঠানো হয়। সেখানেও নামার পর মেডিকেল স্ক্রিনিং করা হবে এবং তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যদি মনে হয় যে তাঁদের শরীরে কিছু সমস্যা হয়েছে তাহলে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে। নাহলে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিন থাকতে বলা হবে বলে জানা গেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad