অন‌লাইনে পড়াশোনা চালু করলো ভাঙড় হাইস্কুল

ভাঙড় হাইস্কুল যে পিছিয়ে নেই পড়াশোনায় সেটা হাতে কলমে দেখিয়ে দিল লকডাউন চলাকালীন। এখানে ভাঙড় এলাকার বেশ কয়েকটি বালিকা বিদ্যালয় ছুটি। কেন আজ তাদের অনলাইনে পড়াশোনা শেখাতে চালু করতে হল, তার একটাই কারণ কয়েক বছর ধরে ভাঙড় হাইস্কুল মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে সুনাম অর্জন করে ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি স্কুলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলে। লকডাউন‌‌ হওয়ার পর ভাঙড় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াসুদ্দিন হালদারকে ভাবিয়ে তোলে এবার কি হবে, সামনে নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্রদের পড়াশোনা ও পরীক্ষা। স্কুলের ছাএদের ভবিষ্যৎ এখানে শেষ হবে।

এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক দের সাথে আলোচনা করেন। তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ভাঙড় ওয়ান বি ডি ও সৌগত পাএ ভাঙড় বই মেলা কমিটির কয়েকজন সদস্য। আজ থেকে ভাঙড় ওয়ান ব্লকে কমিউনিটি হলে ভিভিও গ্রাফি করে মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুকে ভাঙড় হাইস্কুলের নবম দশম শ্রেণীর
পঠন পাঠান শুরু হয়েছে। ভাঙড় হাইস্কুলের শিক্ষকরা যেমন ক্লাস নেবেন আবার ভাঙড় বেশ কিছু অভিজ্ঞ টিউশনি শিক্ষক অন লাইনের মাধ্যমে ছাত্রদের পড়াশোনা শেখাবেন। বাংলা,ইংরাজী, বিজ্ঞান, অঙ্ক,  ইতিহাস, ভূগোল এবং অন্যান্য বিষয়ও থাকবে।

ভাঙড়  হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াসুদ্দিন হালদার বলেন, অনলাইনে ভাঙড় হাইস্কুলের ছাত্রদের পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিলেন ভাঙড় ওয়ান বি ডিও সৌগত পাত্র মহাশয়, তার জন্য সাধুবাদ জানাই তাকে। আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না হাতে মত্র দু'মাস সময়য় কি‌ভাবে নবমও দশম শ্রেণীর ছাত্র দের পড়াশোনা শুরু করবো। লকডাউনে স্কুল ছুটি। আমাদের স্কুলের 2200  মতন ছাত্র আছে। সবার কাছে দামী মোবাইল নেই। যাদের কাছে আছে তারা অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারবে। বাকি দের জন্য যদি আগামী দিন টি ভি চ্যানেলে দেখানো ব্যবস্থা হলে ভালো হয়। 

বি ডিও‌ সৌগত পাত্র বলেন,  অন লাইনে ভাঙড় হাইস্কুলের ছাএদের পড়াশোনা শেখানোর কথা বলে বইমেলা কমিটি ভাঙড় হাইস্কুলের শিক্ষকরা। শুরু করেছি আমরা, আশাকরি ছাত্ররা কিছুটা শিখতে পারবে। লকডাউন হওয়ার পর থেকে তারা বাড়ীতে আছে। স্কুলে আসতে পারছে না ওদিকে সেই ক্লাসের সাবজেক্ট গুলিতে পিছিয়ে পড়ছে। পড়াশোনা করার প্রতি অনিহা ধরছে তাদের। পড়াশোনা করার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে অন লাইন চালু করেছি। শাসকদলের নেতা কাইজার আহমেদ বলেন,  ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন ভাঙড় হাইস্কুল ভাঙড় ওয়ান বি ডি ও সৌগত পাত্র। অনলাইনে পড়াশোনা শেখানোর। এতে পড়াশোনা করার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।