অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ধ্বংসযজ্ঞ সরাতে রাজ্য সরকারকে সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে সেনাবাহিনী। রবিবার উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে রাস্তা সচলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সহায়তা শুরু করেছে সেনা সদস্যরা। এদিকে বিদ্যুৎ, জল ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পুনর্বহালের দাবীতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
গত বুধবার অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে সুন্দরবনসহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিশাল এলাকা। এসব এলাকার উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গেছে বলে জানা যায়। ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় একশ’ মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি বহু বাড়ী, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।
রবিবা বার্তা সংস্থা এএনআই’র প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায় কলকাতার রাস্তায় উপড়ে পড়া গাছ অপসারণে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। কলকাতা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পর পাঁচ দিন পার হওয়ার পরও বিদ্যুৎ, জল ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা পুনর্বহাল না হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কলকাতার নেতাজি নগরের কাছে টালিগঞ্জে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া নিউ আলিপুরেও বিক্ষোভ হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে ঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞ সরানোর পরও এসব সুবিধা পুনর্বহাল সম্ভব হয়নি। কলকাতার বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা জানিয়েছে, জল সরবরাহ কেন্দ্র ও হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সেবা পুনর্বহাল করা হচ্ছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২৭৩টি সাব স্টেশনের মধ্যে ২৪০টি মেরামত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। কলকাতার ৯৪ শতাংশ এলাকায় সেবা পুনর্বহাল সম্ভব হয়েছে বলে দাবী তাদের।
এদিকে ঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞ ঠেকিয়ে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য জরুরি সেবা পুনরায় চালু করতে রাজ্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে নাগরিকদের ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী এসব সেবা পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

No comments:
Post a Comment