গতকাল সোমবার থেকে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত চলবে। রাজ্য সরকারও গতকালই ৩১ মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন থাকবে বলে ঘোষণা করেছে। তবে লকডাউনে কেন্দ্রীয় সরকারের নাইট কারফিউয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পশ্চিমবঙ্গে কারফিউ হবে না বলে জানান তিনি।
চতুর্থ দফার লকডাউনে সবচেয়ে বড় ঘোষণা হলাে, দেশজুড়ে সংক্রমিত এলাকায় সন্ধ্যে ৭টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত কার্যকর হবে নাইট কারফিউ বা নৈশকালীন সান্ধ্য আইন। সন্ধ্যা ৭টার পর আর কেউ বাড়ী থেকে বের হতে পারবে না।
সোমবার বিকেলে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সন্মেলনে বলেন, বাংলায় কারফিউ নয়। এই ঘোষণা করে তিনি কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন। বললেন, এই রাজ্য লকডাউন মানলেও, সরকারিভাবে নাইট কারফিউ ঘোষণা করছে না। তবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত লকডাউন মানা হবে। ওই সময় কেউ বাড়ীর বাইরে বের হতে পারবে না।
মমতা বলেন, 'নাইট কারফিউর নামে মানুষের ভোগান্তি ঠিক নয়। তাই আমরা সরকারিভাবে নাইট কারফিউর ঘোষণা করছি না।' তিনি বলেন, খুব জরুরি ছাড়া কারফিউ ঘোষণা করা যায় না।
মমতা বলেন, এখন আমরা তিন শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি। করোনা, মৌসুমী শ্রমিক ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আশা করি, আমরা জিতব এই লড়াইয়ে।
মমতা ঘোষণা করেন, এবার রাজ্যের সংক্রমিত লাল জোনকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করেছি। এ, বি ও সি। এ হলে সংক্রমিত বা অ্যাফেক্টেড জোন, বি হল বাফার জোন এবং সি হল ক্লিন জোন। আর এই তিনটি জোন ভাগ করা হবে রাজ্যের বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিক।
মমতা বলেন, ২১ মে থেকে এ জোন বাদে সর্বত্র বড় সব দোকান খুলে যাবে। খুলবে জোড়বিজোড় সংখ্যায় হকার্স মার্কেট। রেস্তোরাঁ না খুললেও হোটেল খুলবে। আর ২১ মে থেকে রাজ্যে চালু হবে আন্তঃজেলা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস পরিসেবা। মমতা এদিন বেসরকারি বাস-মিনিবাস মালিকদেরও ওইদিনে বাস চালু করারও অনুরোধ জানান । ২৭ মে থেকে ২ জন যাত্রী নিয়ে চলবে অটো বা স্কুটারও।

No comments:
Post a Comment