করোনা দুর্যোগ ও দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যে ধেয়ে আসে ভয়াবহ আম্ফান। এই ঝড় আয়লার থেকেও আরও ভয়াবহ একথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেন। রাজ্যের উপর দিয়ে যে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবে তা বিপুল শক্তি নিয়েই বয়ে যাবে তা বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কাই এদিন সত্যি হতে দেখা গেল সন্ধ্যার পর থেকেই। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা দিয়ে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৩৩ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বিপুল পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হয় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ক্ষতির সম্মুখীন হয় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিও। আর এই ক্ষয়ক্ষতির খবর শুনেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বাংলার পাশে থাকার বার্তা দিলেন।
এ যাবত বঙ্গোপসাগর থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলির মধ্যে সবথেকে বেশি গতিবেগ নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর গতিবেগ আয়লার গতিবেগকেও ছাড়িয়ে যায়। কলকাতার উপর প্রায় চারঘন্টা এই ঘূর্ণিঝড় তার লীলাখেলা দেখায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। গাছপালা, বাড়ী-ঘর ভেঙে পড়েছে। ক্ষতির মুখে কোটি কোটি টাকার মাঠের ফসল।
আর এই ক্ষয়ক্ষতি নিয়েই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অনেক ছবি দেখলাম। এই সময়টা খুব কঠিন সময়। সারা দেশ বাংলাকে সংহতি জানাচ্ছে। রাজ্যের মানুষদের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা যায়।”
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আরও একটি ট্যুইট করে জানান, প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। বিপর্যস্ত এলাকায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স কাজ করছে।

No comments:
Post a Comment