লকডাউনের মধ্যেই সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ী ফেরা ভাড়াটিয়া দম্পতিকে ঘর থেকে তাড়িয়ে রাস্তায় নামালেন এক বাড়ীর মালিক। আবার সেই অচেনা দম্পতিকেই রাস্তা থেকে তুলে নিজেদের ঘরে তুললেন আরেক স্বামী-স্ত্রী। দেখিয়ে দিলেন, করোনা আতঙ্কের মধ্যেও নিজেদের জীবনরক্ষার পাশাপাশি মানবতা রক্ষার যুদ্ধটাও সামনে দাঁড়িয়ে লড়া যায়। খবর এনডিটিভির
ঘটনা উলুবেড়িয়ার নোনা শিবতলার। গত বৃহস্পতিবার রাতে উলুবেড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুকন্যাকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছিলেন খড়্গপুরের বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত শঙ্খ হাইত ও তাঁর স্ত্রী শম্পা। কারণ নোনা শিবতলায় থাকা ভাড়াবাড়ীর মালিক জানিয়ে দিয়েছেন, বাড়ী ঢোকা যাবে না। স্পষ্ট করে না বললেও ইঙ্গিত, লকডাউনের মধ্যে সদ্যোজাতকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরা দম্পতিকে তিনি বাড়ীতে রাখতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকি, ৩০ তারিখের মধ্যে বাড়ী খালি না-করলে জল আর বিদ্যুতের লাইন কেটে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনাচক্রে, এলাকাটি খোদ উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডভুক্ত।
শঙ্খদের ওই অবস্থায় রাস্তায় ঘুরতে দেখে কারণ জানতে চান স্থানীয় বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী শমীক ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী অন্তরা। পরিস্থিতি বুঝে তারা নিজেদের ফ্ল্যাটে ডেকে নেন ঘরহারা ওই পরিবারকে।
শঙ্খের কথায়, ‘দুবছর ভাড়া থাকি নোনা শিবতলায়। আপত্তি শুনে বাড়ীর মালকিনকে বলেছিলাম, এখন লকডাউনের মধ্যে তিন দিনের বাচ্চাটাকে নিয়ে আমরা কোথায় যাব? উনি শোনেননি, ঘরেও ঢুকতে দেননি। উল্টে হুমকিও দিলেন। শুধু বৃদ্ধ মা-বাবাকে থাকতে দিয়েছেন।’
No comments:
Post a Comment