কালিয়াগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক নিযুক্ত হলেন "বাংলার গর্ব" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য কার্তিক চন্দ্র পাল। শুক্রবার থেকে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক হিসেবে কাজ শুরু করছেন লম্বা রেসের ঘোড়া "কার্তিক"। ২১ মে শেষ হয়েছে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৫ বছর মেয়াদী বোর্ড অফ্ কাউন্সিলারের মেয়াদ। বিদায়ের দিন শেষ বেলায় দুই সদস্যের প্রশাসক মন্ডলীর নাম জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য পুরদপ্তর। পুর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল ও প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য বসন্ত রায়ের নাম জানিয়েছে নবান্ন।
পরবর্তী পুরভোট না হওয়া পর্যন্ত এই প্রশাসক মন্ডলীর মেয়াদ থাকবে। দিনের শেষে এই নির্দেশিকা আসতেই কালিয়াগঞ্জ পুরসভায় উৎসবের আবহ মেতেছিল। কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের দিশারি বিদায়ী পুরপ্রধান কার্তিক চন্দ্র পালকে প্রশাসক হিসেবে পেয়ে খুশি পুরসভার কর্মীদের একাংশ। সকলেই শুভেচ্ছা জানায় নয়া প্রশাসককে, যিনি আজ কালিয়াগঞ্জের পুর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন কার্তিক বাবু। ২০১৫ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে এলেও পিছিয়ে পড়া কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের স্বার্থে সংখ্যা গরিষ্ট কাউন্সিলারদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৬ সালে কলকাতায় ২১ জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেন কার্তিক চন্দ্র পাল। দলবদল নিয়ে অনেক কথা হলেও বাংলার গর্ব মমতার আর্শীবাদধন্য কার্তিক পাল উন্নয়ন দিয়ে নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। বিরোধীদের সঙ্গে নিজের দলের একাংশ কালসাপের মতো পেছন থেকে ছোবল মারার চেষ্টা করলেও কার্তিক পালের উন্নয়নের রথ আটকাতে পারেনি। কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নে নিজের লক্ষ্যে অবিচল কার্তিকের বিজয়রথ এগিয়ে চলেছে নিজের গতিতে। কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান হিসেবে কার্তিক পাল ৪৬ মাসের মেয়াদকালে ৫ হাজার টাকা হিসেব ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা সরকারি ভাতা নেয়নি।
বাংলার গর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্শীবাদ মাথায় নিয়ে কালিয়াগঞ্জ শহরকে নবরূপে সাজিয়ে তোলার সঙ্গে সরকারি অর্থ সাশ্রয় করে নতুন দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন কার্তিক পাল।
১৯৮৭ সালে জন্ম নেওয়া কালিয়াগঞ্জ পুরশহরে উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হয়নি ৩০ বছরে। থমকে থাকা সেই উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কার্তিক পাল বদলে দিয়েছেন এই কালিয়াগঞ্জ শহরকে।
এদিন কার্তিক চন্দ্র পাল জানান তাকে এই গুরু দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

No comments:
Post a Comment