ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে মৃতদের পরিবার পিছু ২.৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 21 May 2020

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে মৃতদের পরিবার পিছু ২.৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর




করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসে সারা বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। দেশজুড়ে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। এসবের মাঝেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গ্রাসে সারা বাংলার বিভিন্ন জেলা ক্ষতিগ্রস্থ।মৃতের সংখ্যাও অনেক। এই ভয়াবহ ঝড়ে  মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করলেন  মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ আয়লার গতিবেগকেও ছাপিয়ে যায়। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা একসময় ১৩৩ কিমিও ছুঁয়ে যায়। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা। ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনও পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।

এই ৭২ জন মানুষ কোথায় কোথায় মারা গেলেন তা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতাতেই এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। হাওড়া জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। আর বাকিদের মৃত্যুর খবর এসেছে অন্যান্য জেলা থেকে। আর এই সকল মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই দুর্যোগে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে সহানুভূতি জানানোর ভাষা নেই আমার৷ তবু যদি এই টাকাগুলি পেয়ে কিছুটা উপকার হয়”।

কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও হুগলিতে মৃত্যু ৪ জনের, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬ জন, মেদিনীপুরে ২ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১ জন, নদিয়ায় ৪ জন, সুন্দরবনে ৪ জন, ডায়মন্ড হারবার থেকে ৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬ জন, রানাঘাট থেকে ৬জন ও বারুইপুর থেকে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ দিনের মধ্যে সার্ভে করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন পুকুরগুলিকে পরিষ্কার করার কথা। এছাড়াও রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা গাছগুলিকে কেটে সরানোর জন্য তিনি ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। পরামর্শ দেন ক্লাবগুলিকে দিয়েও কাজ করানোর।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad