প্রচন্ড ভাবে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এইমাত্র প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আরও একজন এই ঝড়ের বলি হলেন। এই মুহূর্তে শহরে ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে ঝড় বইছে। গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। নবান্নেও পড়েছে ঝড়ের প্রভাব। জানা যায়, নবান্নের ১০৯ নং ঘরের দরজা ভেঙে গিয়েছে। জানালা ভেঙে জলোচ্ছ্বাস ঘরে প্রবেশ করছে। এই ঘরেই একসময় বসতেন প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে শুধু এই ঘর নয়, এর আশেপাশের কয়েকটি ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এককথায় শহরবাসী ভয়ে কাঁপছে। ফু্ঁসছে সমুদ্র, বাড়ছে জলোচ্ছ্বাস। জেলার অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন তান্ডব ২০০ বছরেও দেখেনি রাজ্যবাসী। জানা যায়, সেই সময় ভয়ঙ্কর ঝড় তছনছ করে দিয়েছিল শহর। এরপরও এসেছে অনেক ঝড়। তবে আম্ফান সবচেয়ে শক্তিশালী। সূত্রের খবর ৭.২০ নাগাদ দমদমের ওপর দিয়ে ঘন্টায় ১৩৩ কিমি বেগে বয়ে গিয়েছে আম্ফান, যা এখন পর্যন্ত এর সব থেকে বেশি গতি। মাঝ রাত পর্যন্ত থাকবে এর দাপট।
এরই মধ্যে হাওড়ায় ভেঙ্গে গিয়েছে ফেরিঘাট। হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৬০০০-এর বেশি কাঁচা বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিম কুটিয়ারিতে পুরোনো বাড়ীর একাংশ ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, হিঙ্গলগঞ্জ সর্বত্রই ভয়ানক পরিস্থিতি। তবে রাতের অন্ধকারে সম্পূর্ণ ক্ষতির হিসেব পাওয়া অসম্ভব। সকাল হলে বোঝা যাবে কতটা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি।
তবে সরকার তৎপরতায় সাথে ঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে কন্ট্রোল রুমে বসে নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছেন এবং রাতেও তিনি সেখানেই থাকবেন।

No comments:
Post a Comment