ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে দেশের পূর্ব-উপকূলীয় এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 18 May 2020

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে দেশের পূর্ব-উপকূলীয় এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে





শক্তি সঞ্চয় করে অতিপ্রবল থেকে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এই ঝড়ের সম্ভাব্য তাণ্ডবের আশঙ্কায় লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দেশ। এতে  করোনাভাইরাস মহামারীর জরুরি সেবাগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।

সোমবার দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতের আশঙ্কায় দেশের পূর্ব-উপকূলীয় এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

করোনা মহামারীতে বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের কবলে থাকা দেশ ওড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি আগামী বুধবার আঘাত হানতে পারে বলে  আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

ভারতের করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৯৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে; যা করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের চেয়ে বেশি। এছাড়া মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯ জন। করোনার বিস্তারের গতিতে লাগাম টানতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলায় দেশের কোটি কোটি মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এর মাঝেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবের শঙ্কা মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে হাজির হয়েছে।

ওড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের সরকার উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম মোতায়েন করেছেন। এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ১২ ঘণ্টা আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষ্যা এবং বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

সুপার সাইক্লোনে রূপ নিলে এই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৬৫ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা বাংলাদেশে ২০০৭ সালের নভেম্বরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরের গতিবেগের চেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্ত একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, নিম্নাঞ্চলগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে করোনাভাইরাস থেকেও রক্ষা করতে হবে। তবে এটা সহজ কাজ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাধারণত প্রত্যেক বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে। এই ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি ঠেকাতে লাখ লাখ মানুষকে উপকূলীয় এলাকা থেকে সরিয়ে নেয় বাংলাদেশ এবং ভারত।

বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওড়িষ্যার প্রদেশের প্যারাদ্বীপ কর্তৃপক্ষ সমুদ্রে জাহাজ চলাচল থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্যারাদ্বীপ পোর্ট ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান রিনকেশ রয় বলেন, বন্দরে কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বর্তমানে বন্দর খালি করছি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad