চালু হতে চলেছে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 15 May 2020

চালু হতে চলেছে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প





পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্ট দূর করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প চালু করার কথা জানালেন। এই প্রকল্প অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিকেরা যখন যেখানে থাকবেন, ওই কার্ড ব্যবহার করে রেশন তুলতে পারবেন। এ ছাড়া রেশন কার্ড না থাকা শ্রমিকদের পরিবারকে মাথাপিছু পাঁচ কেজি চাল অথবা গম এবং পরিবারপ্রতি এক কেজি ডাল আগামী দুই মাসের জন্য দেওয়া হবে। এ জন্য সরকারের খরচ হবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।

সরকারি হিসেবে দেশে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা আট কোটি। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ প্রকল্প ১০০ ভাগ বাস্তবায়িত হবে।

করোনার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুদিন আগে ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রণোদনা কোন ক্ষেত্রে কতটা তা জানাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বুধবার তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সরকারি সহায়তার কথা জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিক, ক্ষুদ্র কৃষক, শহুরে দরিদ্র ও হকারদের সহায়তার প্রকল্পগুলোর কথা জানান।

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১০০ দিনের কাজের সুবিধার কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতে ঘরে ফিরে ১০০ দিনের কাজ পান, তা নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলোকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সরকার সারা দেশে ১৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মদিবস তৈরি করেছে। উদ্দেশ্য, পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাতে ঘরে ফিরে কাজ করে খেতে পারেন। করোনা সংকট সৃষ্টির অনেক আগেই অবশ্য ১০০ দিনের কাজের মজুরি ১৮২  থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছিল।

অর্থমন্ত্রীর দাবি, এই কাজের জন্য সরকারের খরচ হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা। করোনার জন্য এই কয় মাসে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে। লকডাউন পর্বে শহুরে গৃহহীনদের দিনে তিনবার খাওয়ানো হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্যগুলোকে মোট ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হকার ও ফুটপাতের দোকানদারদের জন্য ১০ হাজার পর্যন্ত ঋণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সারা দেশে হকারের সংখ্যা ৫০ লাখ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, তিন কোটি প্রান্তিক কৃষকের ইতিমধ্যেই চার লাখ কোটি টাকার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের জন্য ঋণের কিস্তি মওকুফ করা হয়েছে। গত দুই মাসে ২৫ লাখ কিষান কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দেশের ১২ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই করোনার মোকাবিলায় ৩ কোটি মাস্ক ও ১ লাখ ২০ হাজার লিটার হাত ধোওয়ার তরল সাবান তৈরি করেছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad