লকডাউনের কারণে অসম-বাংলা সীমান্তে প্রশাসনের তৎপরতায় অস্থায়ী শিবিরেই সম্পন্ন হল বিয়ে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 24 May 2020

লকডাউনের কারণে অসম-বাংলা সীমান্তে প্রশাসনের তৎপরতায় অস্থায়ী শিবিরেই সম্পন্ন হল বিয়ে






লকডাউনের কারণে শনিবার অসম-বাংলা সীমান্তে প্রশাসনের তৎপরতায় বিয়ের আসর  বসালো। অসম প্রশাসন সীমান্তের ছাগলিয়া নাকা চেকিং-এর অস্থায়ী শিবিরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা গিয়েছে, অসমের মেয়ে 'কাজল'-এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার ছেলে 'ওম প্রকাশ' এর বিয়ে ঠিক হয় গত ছয় মাস আগে। তাদের আশা ছিল বড় ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হবে। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ যদি আরও বাড়ে সে কারণে বিয়ের তারিখ পেছাতে রাজি ছিলেন না কোন পক্ষই। সেই কারণে অসমে প্রবেশের অনলাইনে আগাম অনুমতিও নেওয়া হয়। সেই মত পাত্র পক্ষ জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থেকে বিয়ে করতে  প্রায় ১৯০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। সেই ভেবে পাত্রপক্ষ জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থেকে সকাল সকাল রওনা হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে অসম প্রশাসনের বাধার মুখে পরতে হয় পাত্র পক্ষকে।

অসম সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী অসমে প্রবেশ করলে ১৪ দিনের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এদিকে বিয়ের লগ্ন সময় ঘনিয়ে আসতে থাকে। তারপর দুই রাজ্যের প্রশাসন মিলে সিদ্ধান্ত হয় অসম-বাংলা সীমান্তেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। উপায় না পেয়ে সেই কথা মত রাজি হয়ে যান দুই পক্ষ। তারপর সীমান্তেই বিয়ের মণ্ডপ থেকে ছাদনা তলা সব কিছুই সাজিয়ে তোলা হয়। অসম বাংলা সীমান্তে বিয়ের পুরোহিত, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে উপহার সমস্ত কিছুর বন্দোবস্ত করে প্রশাসন। তারপর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে অগ্নি সাক্ষী রেখে মালাবদল থেকে সিঁদুর দান সমস্ত  নিয়ম মেনে অসম বাংলা সীমান্তের সাজনা তলায় সাতপাকে বাঁধা পরেন নবদম্পতি। এ বিষয়ে পাত্র ওমপ্রকাশ জানান "দুই পরিবারের আমরা কেউ ভাবিনি এরকম ভাবে আমাদের বিয়ে হবে। এটা আমাদের ভাগ্যে লেখা ছিল। ভালো লাগছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad