এক দানা খাবার নয়। এক ফোঁটা জলও নয়। এইভাবে টানা ২৩ ঘণ্টা কাটালেন বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশন। ইনস্টাগ্রামে ২৩ ঘণ্টা অভুক্ত থাকার ছবিও পোস্ট করলেন। সঙ্গে জুড়ে দিলেন স্টপওয়াচের নির্দেশিত সময়ের ছবি, ২৩ ঘণ্টা ৭ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড। এই পোস্টে ইতিমধ্যে ১৪ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি ‘লাইক’ আর সাড়ে সাত হাজার মন্তব্য জড়ো হয়েছে। তবে এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। কী সেই কারণ?
হৃত্বিক তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে নানানভাবে জুড়ে থাকেন। হৃত্বিকের পোস্ট করা ছবি ও ভিডিও ভক্তরা দারুণ পছন্দ করেন। সম্প্রতি এই বলিউড নায়ক জানিয়েছেন যে তিনি ২৩ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে, পান না করে কাটিয়েছেন। আর এর পেছনের বিশেষ কারণও ফাঁস করেছেন হৃত্বিক।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বলিউডের অভিনয়শিল্পীরা এখন গৃহবন্দী। হৃত্বিকও এই লকডাউনের মধ্যে নিজের ফিটনেস নিয়ে খুবই সচেতন। নিজেকে সুস্থ ও ঝরঝরে রাখার জন্য এই বলিউড তারকা নানান উপায় বের করছেন। নিজের আধিকারিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভাগ করে নেওয়া সেই সেলফির পাশাপাশি তিনি এক অ্যাপের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। অ্যাপটি তাঁর ফিটনেসের ওপর কড়া নজর রাখে। ৪৬ বছর বয়সী হৃতিক জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর। আর বলেছেন, স্বাধীনতার মানে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন করা। হৃত্বিকের এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, না খেয়ে থেকেই আরও বেশি হ্যান্ডসাম লাগছে হৃত্বিককে।
বেশ কিছুদিন আগে হৃত্বিক মুম্বাই পুলিশকে সাহায্য করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। বিষয়টি মুম্বাই পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে ধন্যবাদ জানায় তাকে। মুম্বাই পুলিশ তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিল, ‘পুলিশ বাহিনীর সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাঠানোয় হৃত্বিক আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রথম সারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আপনার এই আনুকূল্যের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’ এই ট্যুইটের জবাবে হৃত্বিক আবার একটি পাল্টা ট্যুইট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা আমাদের পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ। এই কৃতজ্ঞতা কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ হওয়ার নয়। যাঁরা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁরা সুরক্ষিত থাকুন। আমাদের সুরক্ষার জন্য করোনা যোদ্ধাদের ভালোবাসা আর লাল সালাম।’
২০১৯ সালে ‘সুপার থার্টি’ ও ‘ওয়ার’–এর তুমুল সফলতা, দুই ছেলে আর প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে দিব্যি কাটছে হৃত্বিকের লকডাউন।

No comments:
Post a Comment