ব্যাপক বোমাবাজিতেও অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে যাওয়া হিটলারের সেই পোষা কুমিরের মৃত্যু - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 25 May 2020

ব্যাপক বোমাবাজিতেও অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে যাওয়া হিটলারের সেই পোষা কুমিরের মৃত্যু




দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্লিনে ব্যাপক বোমাবাজিতেও এই কুমির মরেনি। কিন্তু এবার রাশিয়ার মস্কোর একটি চিড়িয়াখানায় সেটির মৃত্যু হল। লোকে বলে, এটি অ্যাডলফ হিটলারের পোষা কুমির ছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটির নাম দিয়েছিল স্যাটার্ন। মিসিসিপি কুমিরটির বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। রবিবার (২৪ মে) সকালে স্যাটার্ন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গিয়েছে বলে জানায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

১৯৩৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম স্যাটার্নের। এরপর ১৯৩৬ সালে বার্লিন চিড়িয়াখানাকে সেটি উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে সেই চিড়িয়াখানার উপর ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছিল। চিড়িয়াখানার বাকি পশু-পাখি মারা গেলেও বেঁচে যায় স্যাটার্ন। ব্রিটিশ আর্মির জওয়ানরা স্যাটার্নকে খুঁজে পায় প্রায় তিন বছর পর। এর পর স্যাটার্নকে আপন করে নেয় মস্কোর চিড়িয়াখানা। গোটা চিড়িয়াখানা যখন ব্যাপক বোমাবাজিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল, তখন স্যাটার্ন কী করে বাঁচল! এই ঘটনাটি রহস্য হয়েই থেকে গেল।

মস্কো চিড়িয়াখানায় হিটলারের পোষা এই কুমিরটিকে দেখতে ব্যাপক ভিড় জমত। মস্কো চিড়িয়াখানায় যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন স্যাটার্নের বয়স ছিল ১০ বছর। অর্থাৎ গত ৭৪ বছর ধরে সেখানেই ছিল স্যাটার্ন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার চলে যাওয়ায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মন খারাপ।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি স্যাটার্নের পরিচর্যা করত তাকে ভালভাবে চিনত সে। রাগ হলে স্টিলের চামচ বা কংক্রিটের দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার মতো শক্তি ছিল এটির। মিসিসিপি কুমির সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বাঁচে। কিন্তু স্যাটার্ন ছিল বিরল। সার্বিয়ার বেলগ্রেড চিড়িয়াখানায় আরেকটি কুমির রয়েছে যাঁর বয়স ৮০ বছর। স্যাটার্ন তার থেকেও বয়সে বড় ছিল। মস্কোর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্বীকার করে না যে স্যাটার্ন হিটলারের পোষা কুমির ছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad