করোনার টিকার মানবদেহে প্রাথমিক সাফল্য, দাবী চীনের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 23 May 2020

করোনার টিকার মানবদেহে প্রাথমিক সাফল্য, দাবী চীনের






চীনা নাগরিকদের ওপর কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য একটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, টিকাটি মানুষের শরীরে নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম। কানাডার সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, চীনের পর এবার দ্বিতীয় দফায় তাদের দেশের নাগরিকদের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে ওই টিকা প্রয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, চীন ও কানাডা ওই ভ্যাকসিন উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করছে।

শুক্রবার মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানচেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে চীনের ক্যানসিনো বায়োলোজিকস-এর সূত্র অনুযায়ী তৈরি ওই টিকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। উহানের ১০৮ জন বয়স্ক মানুষের ওপর প্রাথমিকভাবে ওই টিকা প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে করোনা নিষ্ক্রিয়করণ  অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং দেহের টি-সেলে সাড়া মিলেছে।

টিকাটি ২৮ দিন পর দেহকে প্যাথোজেন বা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবে বলে ধারণা মিলেছে। তবে এর সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইনজেকশানের জায়গায় কিছুটা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা।

সিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ কানাডার ডালহাউজে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টিকাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চান। কানাডায় সম্ভাব্য এ টিকার প্রথম ক্লিনিকাল পরীক্ষা হবে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১০০ মানুষের ওপর। এরপর ৬৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সীদেরকেও পরীক্ষার আওতায় নেওয়া হবে। মোট ৫০০ মানুষের ওপর পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় এটি একটি সম্ভাব্য প্রতিশ্রুতিশীল টিকা। তবে টিকাটি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

হ্যালিফিক্সে কানাডিয়ান সেন্টার ফর ভ্যাকসিনোলজির গবেষক ডা. জোয়েনে ল্যাঞ্জলে বলেন, ‘ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল অব কানাডা চীনের ক্যানসিনোর সঙ্গে যৌথভাবে এই টিকা নিয়ে কাজ করছে। এটি নির্ভরযোগ্য প্রমাণিত হলে তা কানাডার সরবরাহ করা যাবে।’

জোয়েনে বলেন, ‘আমরা যেহেতু কানাডার মাটিতে টিকাটি উৎপাদন করবো, সুতরাং এটি আমাদের সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad