বিশ্বজুড়ে এক রহস্যের নাম উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন। সবশেষ আলোচনায় এসেছিলেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে না এসে। সে সময় তিনি হার্ট অ্যাটাক অথবা করোনায় মারা গেছেন বলে গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। সব গুজবকে উড়িয়ে ১ মে প্রায় ২০ দিন পর জনসম্মুখে আসেন তিনি। সেদিন রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সানচিয়নে একটি সার কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন কিম। খবর এশিয়ান নিউজ এর।
তবে এরপর থেকে আবারও নিখোঁজ হয়েছেন রহস্যময় এই নেতা। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার গতকাল শুক্রবার প্রকাশ করেছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা তিন সপ্তাহ ধরে জনসমক্ষে উপস্থিত হননি। সিউল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তারা এটাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন। দক্ষিণ কোরীয় সরকারের একজন মুখপাত্র ইয়ো সাং-কি অবশ্য স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, এর আগে জানুয়ারিতেও কিমকে ২১ দিনের জন্য জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তবে তার দীর্ঘতম অনুপস্থিতি ২০১৪ সালে। সে সময় তিনি ৪০ দিনের জন্য নিখোঁজ হয়েছিলেন। এসময় তার গোড়ালিতে একটি অস্ত্রপচার করা হয় বলে জানিয়েছিল সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের মতে, কিম তার বোন কিম ইয়ো-জংয়ের সাথে ওনসানে রয়েছেন। কেউ কেউ মনে করছেন কিমের অনুপস্থিতিতে তাঁর বোন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। অনেকের ধারণা, পিয়ংইয়ং নেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে রাজধানী থেকে সরে এসেছেন।
উল্লেখ্য, অত্যধিক ধূমপান, স্থূলতা-সহ বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন কিম জং উন। তার উপর ছিল মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ। এর জেরেই হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার এবং তারপর থেকেই গুরুতর অসুস্থ কিম জং উন। কিম মারা গেছেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জল্পনা-আলোচনা চলে। কোন কোন প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বারবারই বলছেন, কিম বেঁচে আছেন, ভালো আছেন।

No comments:
Post a Comment