আটার প্যাকেটে টাকা দানের ব্যাপারে আমির কী তবে ভাইজানকে ইঙ্গিত করলেন!

সম্প্রতি একটি টিকটক ভিডিওতে দাবি করা হয়, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে বলিউড সুপারস্টার আমির খান আটার ব্যাগভর্তি একটি ট্রাক পাঠান। ওই ট্রাকটি ২৩ এপ্রিল দিল্লির একটি অনুন্নত অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছায়। ট্রাকটি এক কেজি আটার প্যাকেটে ভর্তি ছিল।

অনেকেই ওই প্যাকেট গ্রহণ করতে চাননি, কেননা তাঁরা ভাবছিলেন এক কেজি আটা তাঁদের পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়, যাঁরা ওই আটা গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা পরে বেশ চমকে গেছেন। কেননা, আটার প্রতিটি প্যাকেটেই নগদ ১৫ হাজার টাকা লুকানো ছিল।

ভিডিওর বক্তা বলেন, এভাবে চমকে দেওয়ার নেপথ্যে ছিলেন আমির খান। ওই টিকটক ভিডিওতে আরও জানানো হয়, আমির চেয়েছিলেন ওই অর্থ যেন সত্যিকারের দুঃস্থ পরিবার পায়, কেননা যারা প্রচণ্ড কঠিন সময় পার করছে, কেবল তারাই এক কেজি আটার জন্য লাইনে দাঁড়াবে।আজ সোমবার সকালে ট্যুইটারে সেই টিকটক ভিডিও নিয়ে মুখ খোলেন আমির খান।। লেখেন, ‘বন্ধুরা, আটার ব্যাগে টাকা দেওয়া ব্যক্তিটি আমি নই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা গল্প, অথবা রবিনহুড নিজেকে প্রকাশ করতে চায় না!’

বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের প্রতিবেদনে জানা যায়, আমির খান যেহেতু ‘রবিনহুড’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভক্তরা ভাবছেন, এটি একটি ইঙ্গিত। তাঁদের মতে, রবিনহুড শব্দ ব্যবহার করে আমির আসলে রবিনহুড পান্ডে ওরফে চুলবুল পান্ডে ওরফে সালমান খানকে বুঝিয়েছেন।

এরই মধ্যে নেটিজেনরা নানা তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন। সামিনা শেখ নামের এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী আমিরের বক্তব্য রিট্যুইট করে লিখেছেন, ‘রবিনহুড বলতে কি আপনি দাবাং সালমান খানের কথা বুঝিয়েছেন? কারণ বলিউডের রবিনহুড তো উনিই। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ। আমার মা এর জন্য আপনার অনেক প্রশংসা করেছেন।’রজনীশ গুপ্ত নামের এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘রবিনহুড শুধু সালমান খান।’ আরেক ভক্ত লিখেছেন, ‘বাস্তবতা হল সালমান খান।

এ নিয়ে ট্যুইটারে চলছে নানা মন্তব্য। বেশিরভাগ নেটিজেন মনে করছেন, বলিউডে রবিনহুড বলতে সালমানকেই বোঝায়। তাহলে কি আমির খান তারই ইঙ্গিত দিলেন? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। দেখা যাক, বলিউড ভাইজান ওরফে রবিনহুড কোনও উত্তর দেন কি না!

গত রাতে ছবি ও ভিডিও শেয়ারের জনপ্রিয় মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সালমান খান একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে তাঁকে প্রচুর খাবারের প্যাকেট বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে। ঘোড়ার গাড়ি, ট্রাকে ভর্তি খাবারের প্যাকেট। নিজ হাতে সালমান তো বিতরণ করছেনই, তাঁকে সাহায্য করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও তাঁর বন্ধু ইউলিয়া ভানটুরকেও। কোভিড-১৯-এর কারণে দেশে লকডাউন চলছে। এ তারকার প্যানভেলের খামারবাড়ীতে রয়েছেন এ দুজন। সালমানের দানশীলতার কথা জানেন সবাই। কিছুদিন আগে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের (এফডব্লিউআইসিই) জেনারেল সেক্রেটারি অশোক দুবে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি দুই বছর ধরে এফডব্লিউআইসিইর জেনারেল সেক্রেটারি এবং এ দুই বছরে সালমান খান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় দেড় কোটি টাকা দিয়েছেন।’

খামারবাড়ীতে সালমান স্বেচ্ছায় সপরিবারে আইসোলেশনে রয়েছেন। সেখানে তাঁর মা সালমা, বোন অর্পিতা খান ও তাঁর স্বামী আয়ুশ শর্মা, তাঁদের সন্তান আয়াত ও আহিল, সালমানের ভাইপো নির্বাণও আছে। সালমানের বাবা খ্যাতিমান চিত্রনাট্যকার সেলিম খান বর্তমানে মুম্বাইয়ে রয়েছেন।