বিশ্বে হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন রেকর্ড হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তাই এই মরণব্যধী থেকে বাঁচতে বিশ্বের বহু দেশ নেমে পড়েছে অ্যান্টিডোজ তৈরির কাজে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ১৩৫টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনার টিকা আবিষ্কারের সম্ভাবনাও দেখছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
তবে এবার কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবী মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সোরেন্টো থেরাপিউটিকসের। মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেম নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিষেধক। যাতে থাকা অ্যান্টিবডি সুস্থ মানব কোষে ভাইরাসের প্রবেশ আটকে দিতে শতভাগ কার্যকর।
সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স নামক ওই সংস্থার দাবি পেট্রি ডিশ পরীক্ষায় তাদের আবিষ্কৃত অ্যান্টিবডি সুস্থ মানব কোষে করোনাভাইরাসের প্রবেশ আটকে দিতে শতভাগ সফল। এই অ্যান্টিবডি নিয়ে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর সোরেন্টো থেরোপিউটিকস এবার প্রস্তুত পরবর্তী ধাপের জন্য। সোরেন্টো থেরাপিউটিক্স প্রধান নির্বাহী হেনরি জেআই বলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে এই ওষুধ শতভাগ কার্যকর। এসটিআই- ওয়ান ফোর নাইন নাইন নামক এই অ্যান্টিবডি যদি কারও শরীরে দেওয়া হয়, তখন অ্যান্টিবডিগুলোর একটি ককটেল মানব কোষের জন্য ‘প্রতিরক্ষামূলক জাল’-এর মতো কাজ করতে শুরু করে। তখন তার আর সামাজিক দূরত্বের দরকার নেই। মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগিতায় সোরেন্টোর এই ড্রাগ ককটেল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে অনুমতির আবেদনও করা হয়েছে। সফল হলে মাসে ২ লাখ ডোজ ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। হেনরি জেআই বলেন, ল্যাবটেস্টে সফলতা পেয়েছি, এখন আমাদের লক্ষ্য ব্যাপকভাবে এর পরীক্ষা চালানো। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরই আমরা এই ওষুধ বাজারে ছাড়তে পারবো।

No comments:
Post a Comment