করোনার আবহে লকডাউনের
জেরে গৃহবন্দী দুঃস্থ মানুষ যখন খাবারের জন্য কষ্ট পাচ্ছে, তখন
বসিরহাট পুলিশের মানবিক মুখ দেখল এলাকাবাসী। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার
কঙ্করপ্রসাদ বারুই এর নির্দেশে বসিরহাট ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি পুলিশ সুপার
আনন্দজিৎ হোড় ও বসিরহাট ট্রাফিক ও.সি. বিপ্লব দে এর তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪০০ দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তোলার ব্যবস্থা
করে দিলেন।
প্রত্যেক প্যাকেটে ছিল চাল, ডাল, আলু, তেল সহ
অন্যান্য দৈনন্দিন সামগ্রী। এই দুঃসময়ে এই ত্রাণ পেয়ে সাময়িক স্বস্তিতে প্রাপকরা।
সাধারণত যে পুলিশ করোনার মধ্যে মানুষকে সচেতন করে চলেছে তার পাশাপাশি পুলিশের এই
দয়ালু মনোভাব মানুষের মনে তুলল এক আনন্দের হাওয়া। সাধারণ মানুষের মনে জাগছে যে কাজ
জনপ্রতিনিধিদের করার কথা, তাদের
দেখা নেই।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে বলেছিলেন, আমার
রাজ্যে কোন মানুষ অভুক্ত থাকবেন্ প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেওয়ার
অনুমতি দিয়েছিলেন। সেই কথা মত কাজ করে
দেখালেন বসিরহাট বোর্ডঘাটে একদল ট্রাফিক পুলিশ। দুঃস্থ মানুষদের হাতে তুলে দিলেন দৈনন্দিন
জীবনে বেঁচে থাকার মত খাদ্য সামগ্রী।
এই
খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন বসিরহাট জেলা
ট্রাফিক পুলিশের ওসি বিপ্লব দে। তিনি
জানান, আমরা এর আগেও দিয়েছি, আজকেও দিলাম। আগামী
যতদিন লকডাউন থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর কথা মত সমস্ত দুঃস্থ মানুষদেরকে এইভাবে ত্রাণ
সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment