অবশেষে মৃত্যু হল একরত্তি মেয়েটির।উত্তর চব্বিশ পরগনার বামনগাছির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সাহার দুবছরের কন্যার সমস্ত শারীরিক যন্ত্রণার অবসান হলো একপ্রকার বিনা চিকিৎসাতেই।
2019 সালের ডিসেম্বর মাসে পেটে টিউমার অপারেশন করাতে গিয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে বছর দুয়েকের প্রিয়াংশী সাহার।বাবা পেশায় ভ্যান চালক বিশ্বজিৎ সাহা বামনগাছি এলাকায় ঘুরে মেয়েটির চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজে অপারেশন ও কেমোথেরাপির ব্যাবস্থা করেন।পরে লকডাউন চালু হওয়াতে পরবর্তী কেমো নেওয়া অসম্ভব হয়ে পরে।ইতিমধ্যে ছোট্ট মেয়েটির শারীরিক যন্ত্রনা শুরু হয়ে যায়।চিকিৎসার জন্য এরপর আরজিকর সহ সরকারী হাসপাতাল ও বেসরকারী বারাসাত ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের চিকিৎসার জন্য গেলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।এদিকে টিউমার অপারেশন করা কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ কোভিড হাসপাতালে পরিণত হওয়ার ফলে সেখানেও যেতে পারেন নি তারা।অবশেষে জেলা পুলিশের তৎপরতায় বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হলেও শেষ রক্ষা হলো না,মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লো একরত্তি প্রিয়াংশী।
তবে চোখে জল শুকিয়ে যাওয়া বাবা বিশ্বজিতের অভিমানী উক্তি, বিনাকাটাছেঁড়াতেই চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পরা মেয়েটির শরীরটা তারা ফেরৎ নিয়ে শেষকার্য করতে চান।তবে এই মৃত্যু লকডাউনের ফলে করোনা চিকিৎসার সাথে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত মানুষের কিভাবে রোগমুক্তি ঘটবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল।মনে করিয়ে দিয়ে গেল বিনা চিকিৎসা শব্দটি।
No comments:
Post a Comment