পিরিয়ডে ছুটি চাই...
১১ বছর বয়স থেকে এখন ৩৪। এই পুরোটা সময় জীবনের একমাত্র মূর্তিমান আতঙ্কের নাম পিরিয়ড। এই ব্যথার তীব্রতা এমন, যে কখনো কখনো পেইন কিলার ইনজেকশন নিতে হাসপাতালেও যেতে হয়। কাজেই ছোটবেলা থেকেই মনে হতো, এই সময়টা ছুটি থাকে না কেন?
কোথাও কি থাকে? আসুন দেখি।
গবেষণা বলে, ঋতুমতী ৪০ভাগ কর্মজীবী নারীর মধ্যে ২০ ভাগেরই পিরিয়ডে ব্যথা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে 'Dysmenorrhea'বলে।
এই যদি হয় অবস্থা, তবে কোথাও কি ছুটি নিয়ে কথা হয়নি? হয়েছে। এশিয়ার ৪টি দেশে সাংবিধানিকভাবে নারীদের পিরিয়ড লিভ এর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার শ্রম আইনের ১৩ ধারা অনুযায়ী মেয়েরা মাসে দুই দিন পিরিয়ড লিভ পায়।
জাপানি সংবিধানের ৬৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেয়েরা পিরিয়ডের পুরো সময়টা ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানের ৭১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে পিরিয়ডের পুরো সময়টা মেয়েরা ছুটিতে থাকবে। কেউ ওই সময়ে ছুটি না নিলে তাকে অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হবে তার কর্তৃপক্ষকে। এই অধিকার নিশ্চিত না হলে মেয়েরা মামলাও করতে পারবে।
তাইওয়ানে বছরে তিন দিন পিরিয়ড লিভ দেয়া হয়। এই ছুটি অন্য সব ছুটির মধ্যে পড়ে না।
আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়াতে মাদার্স ডে নামে মাসে একদিন পিরিয়ড লিভ পায় মেয়েরা।
আর সভ্যতার ঝান্ডাধারী ইউরোপে এখনো এমন কোনো আইন হয়নি। ২০১৭ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মাসে তিন দিন পিরিয়ড লিভ এর প্রস্তাব দিয়ে বকা খায় ইতালি সরকার। কাজেই আইনটা এখনো হয়নি।
রাশিয়ার সংসদে এই প্রস্তাব ২০১৩ সালে উঠে এখনো ঝুলে আছে।
Happy menstrual hygiene day....
লেখক :
আফসানা শাওন
সংবাদ মাধ্যমের কর্মী
৭১টিভি। বাংলাদেশ
No comments:
Post a Comment