শয্যায় নিজেকে বেশি সময় ধরে রাখতে কার্যকরী ৩ উপায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 1 April 2020

শয্যায় নিজেকে বেশি সময় ধরে রাখতে কার্যকরী ৩ উপায়

images+%25281%2529


সহবাসে অধিক সময় টিকে থাকা পুরুষত্বের মূল যোগ্যতা হিসাবে গণ্য হয়। যেকোন পুরুষ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মিলনের নানাবিধ উপায় রপ্ত করে থাকে। এখানে বলে রাখা ভালো, ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষরা সাধারণত বেশি সময় নিয়ে মিলন করতে পারে না। তবে তারা খুব অল্প সময় ব্যবধানে পুনরায় উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে, মিলনে পুরুষ তত বেশি সময় নেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যবধানও বাড়তে থাকে।

এছাড়া একজন নারী কিংবা এক পুরুষের সঙ্গে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে বেশি সময় দেওয়া যায় এবং মিলনে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কারণ, নিয়মিত মিলনে একে অপরের শরীর এবং ভাললাগা/মন্দলাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেওয়া-নেওয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।

এছাড়া যৌনমিলন দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী করতে চাইলে তিনটি পদ্ধতি কাজে লাগানো যেতে পারে।

১. চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা:
এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কীভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকের নিচের অংশে বহির্গমন শিরা কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। চাপ ছেড়ে দেওয়ার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতি নিন। এই সময় কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন। ৪৫ সেকেন্ড পর পুনরায় কার্যক্রম চালু করুন।

২. সংকোচন (টেনসিং):
মিলনকালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম বন্ধ রেখে আপনার যৌনাঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচে ধরুন। তারপর ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনি দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর পুনরায় আপনার যৌন ক্ষমতা ফিরে আসবে।

৩. বিরাম (টিজিং/পজ এন্ড প্লে):
এই পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃত। সাধারণত সব যুগল এই পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এই পদ্ধতিতে মিলনকালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌঁছালে যৌনাঙ্গ বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থাৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন। যখন অনুভব করবেন চাপ কমে গিয়েছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।

মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকরিতা অভ্যাস বা প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। প্রথমবারে চেষ্টায় কাজ নাও হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad