করোনা ঝুঁকিতে যখন পুরো দেশ ভীত, প্রধানমন্ত্রীও সকলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জনতা কারফিউর আহ্বান জানালেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই নেমে এল আরও একটি বিপর্যয়। কারফিউ শুরু হওয়ার আগেই মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে শনিবার দুপুর থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত চলল গুলির লড়াই। ফলে ১৪ জন জওয়ান মারাত্মক আহত হন এবং নিখোঁজ হন ১৭ জন। ছত্তিশগড়ের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত সুকমা জেলার জঙ্গল ও পার্বত্য এলাকা এলামগুন্ডার কাসালপাডের চিন্টাগুফারের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। জখম নিরাপত্তা রক্ষীদের এয়ারলিফটের মাধ্যমে রায়পুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এর পাশাপাশি সকাল থেকে তল্লাশি চালানোর পরে দুপুরে ঘটনাস্থলের কিছুটা দূর থেকে ১৭ জন নিরাপত্তারক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে খবর আসে কাসালপাডের চিন্তাগুফার মিনপা জঙ্গলে বেশ কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে আছে। এরপরই ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড(DRG) ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(STF)-এর যৌথ বাহিনীর প্রায় ২৫০ জন নিরাপত্তারক্ষী ওই এলাকায় মাওবাদী বিরোধী অভিযান শুরু করেন ২০ মার্চ (শনিবার) । ওইদিনই দুপুরে চিন্তাগুফা এলাকার করাজগুড়া পাহাড়ের কাছে মাওবাদীরা আচমকা গুলি ছুঁড়তে শুরু করলে এই সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নেয়।
এই লড়াইতে ১৪ জন নিরাপত্তারক্ষী আহত হন এবং আজ রবিবার নিখোঁজ হওয়া ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন কোবরা বাহিনীর জওয়ানরা। এছাড়াও ৭ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন।
তবে ঘটনায় মাওবাদীদের ক্ষতির পরিমাণ সঠিক ভাবে জানা না গেলেও, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তাদের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে অনেকেই।
No comments:
Post a Comment