শারীরিক সম্পর্কের যেসব ভুল ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, 22 March 2020

শারীরিক সম্পর্কের যেসব ভুল ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়



ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি,  যা হতে পারে শারীরিক সম্পর্কের কিছু ভুলের কারণেও। কারণ এমন কিছু ক্যান্সার আছে, যা অবাধ শারীরিক সম্পর্কের ফলেই দেখা দেয়। তাই অসুরক্ষিত ও একাধিক শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর আগেই সাবধান হন।

দেখা যায় ক্যান্সার হওয়ার পর, এমনকি সেরে যাওয়ার পরও শারীরিক সম্পর্কে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে এর জন্য যে অসুখ বা চিকিৎসা পদ্ধতি দায়ী থাকে, এমন নয়। অজ্ঞতা, কুসংস্কার, ভয়, সব মিলেমিশে বিপদটি ঘটায়। তাতেও বিপর্যস্ত হয় স্বাভাবিক জীবনযাপন। তবে সচেতন হলে এই সব সমস্যা কাটিয়ে ফেলা কঠিন কিছু নয়।

কীভাবে কাটানো যেতে পারে? আসুন জেনে নেই-

ক্যান্সার হলে চেহারা কিছুটা খারাপ হয়। কখনও চুল পড়ে যায়, ত্বকে আসে রুক্ষতা, কখনও বাদ যায় কোনও অঙ্গ। ফলে হীনমন্যতা জাগে রোগীর মনে। কখনও দেখা দেয় অবসাদ। আক্রান্ত মানুষটি নিজেকে গুটিয়ে নেন, দূরে সরে যান। সঙ্গী সাপোর্টিভ না হলে বা তার মনেও যদি অনীহা থাকে, সেক্ষেত্রে দূরত্ব বাড়ে।

অনেকে আবার ভাবেন ক্যান্সার ছোঁয়াচে। বিশেষ করে যৌনাঙ্গে ক্যান্সার হলে এ ধারণা আরও  পুঞ্জীভূত হয়। ফলে শুধু বিছানা নয়, ঘরও আলাদা হয়ে যায়। এছাড়া রয়েছে রোগের কষ্ট, খরচ, ভয় ইত্যাদি। এসব থেকেও নানা কারণে বাড়ে টেনশন। তার আঁচ এসে পড়ে যৌন জীবনে।

নিয়মিত কেমোথেরাপি হলেও শরীরে এত রকম কষ্ট থাকে, যে শারীরিক ইচ্ছেটাই কমে যায়। সহবাসও হয় কষ্টকর। ছেলেদের সাময়িক ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে। তার উপর মৃত্যুভয় তাড়া করে বেড়ায় এতই যে, গোটা পরিবার রোগমুক্তির বাইরে আর কিছুই প্রায় ভাবতে পারে না। পেটে ও আশপাশে রেডিয়েশন দিলে বেশি সমস্যা হয়।

সমাধান

প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, ক্যান্সার কিন্তু মারণ রোগ নয়। আধুনিক চিকিৎসায় অনেক সময়েই ঠিক সময়ে ধরা পড়লে, ক্যান্সার সেরে যায়। কেমোথেরাপি হওয়ার ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে শারীরিক ইচ্ছে ও ক্ষমতা ফিরে আসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। তেমনটা না হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। রেডিয়েশনের পরও একই ব্যাপার। কাজেই ভয় পাবেন না।

> মানসিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে কাউন্সিলিংয়ে ভালো কাজ হয়। মানসিক অবসাদ থাকলে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেলে কিছুদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়।

> অবাধ যৌনাচারে লাগাম পরান। ওরাল সেক্সের অভ্যাস থাকলেও সচেতন হতে হবে। কারণ সঙ্গীর যৌনাঙ্গে বিশেষ ধরণের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থাকলে তা থেকে ওরো–ফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার হতে পারে।

> হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাসের আক্রমণে জরায়ু মুখে ক্যান্সার হওয়া ঠেকাতে সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন।

> একাধিক যৌন সঙ্গী থাকলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, কনডম ব্যবহার না করলে সে সম্ভাবনা আরও বাড়ে। কাজেই বাঁচতে হলে এই স্বভাবে রাশ টানুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad